Dhaka ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোরশায় সরকারী হাসপাতালে দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক

নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। সরকারী এ হাসপাতালটিতে ১০জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এ উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস। দৈনিক গড়ে প্রায় ৪৫০থেকে ৫০০জন রোগী আসেন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে। এর মধ্যে আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০থেকে ৪০০জন ও জরুরী বিভাবে প্রায় ৮০থেকে ১০০জন চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এতগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বে থাকা ঐ একজন চিকিৎসককে। চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে থাকা এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন ও যন্ত্রপাতিও সচল নেই। এসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির সেবাও পাচ্ছেন না জনসাধারণ।

জানা গেছে, ৫০শয্যার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি, এর মধ্যে বগুড়ার আরডিএ প্রকল্প প্রশিক্ষণে রয়েছেন এ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হোসেন ও নওগাঁর পতœীতলা ম্যাট্স এ প্রেসনে রয়েছেন মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল কাদের। আর হাসপাতালটিতে একাই চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. আরিফ হোসেন।

বাকিঁ ৭টি চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও পদশূন্য রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন বিভাগের ১জন, চক্ষু বিভাগের ১জন, অর্থোপেডিক্স বিভাগের ১জন, কার্ডিওলজি বিভাগের ১জন, ইএনটি বিভাগের ১জন, চর্ম ও যৌন বিভাগের ১জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১জন, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ১জন। নার্সিং সুপারভাইজার ১জন, হেল্থ এডুকেটর ১জন, কম্পিউটার অপারেটর ১জন, ক্যাশিয়ার ১জন, অফিস সহকারী কাম ডাটা এনট্রি অপারেটর ১জন, ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১জন ও ফিজিওথেরাপি ১জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ২জন, ভান্ডার রক্ষক ১জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪জন, স্বাস্থ্য সহকারী ৭জন ও অফিস সহায়ক ৪জন।

এছাড়াও পদ শূন্য রয়েছে উপজেলার নোনাহার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শাহ্ পোরশা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে ২জন মেডিকেল অফিসার। নিতপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছাওড় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঘাটনগর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে ৪জন মেডিকেল অফিসার। নিতপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১জনের পদ শূন্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে একজন চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা ডা. আরিফ হোসেন জানান, আমি একা দীর্ঘদিন ধরে এতোগুলো মানুষের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। একা মানুষের দ্বারা এতোগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে আমাকে হিমশিম খেতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজির আহমেদ জানান, আমরা চিকিৎসকসহ হাসপাতালে অন্যান্য শুন্যপদে লোকবলের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সুন্দরগঞ্জে প্রস্তুতি মূলক সভা

পোরশায় সরকারী হাসপাতালে দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক

Update Time : ০৫:৪০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। সরকারী এ হাসপাতালটিতে ১০জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এ উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস। দৈনিক গড়ে প্রায় ৪৫০থেকে ৫০০জন রোগী আসেন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে। এর মধ্যে আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০থেকে ৪০০জন ও জরুরী বিভাবে প্রায় ৮০থেকে ১০০জন চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এতগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বে থাকা ঐ একজন চিকিৎসককে। চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে থাকা এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন ও যন্ত্রপাতিও সচল নেই। এসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির সেবাও পাচ্ছেন না জনসাধারণ।

জানা গেছে, ৫০শয্যার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি, এর মধ্যে বগুড়ার আরডিএ প্রকল্প প্রশিক্ষণে রয়েছেন এ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হোসেন ও নওগাঁর পতœীতলা ম্যাট্স এ প্রেসনে রয়েছেন মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল কাদের। আর হাসপাতালটিতে একাই চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. আরিফ হোসেন।

বাকিঁ ৭টি চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও পদশূন্য রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন বিভাগের ১জন, চক্ষু বিভাগের ১জন, অর্থোপেডিক্স বিভাগের ১জন, কার্ডিওলজি বিভাগের ১জন, ইএনটি বিভাগের ১জন, চর্ম ও যৌন বিভাগের ১জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১জন, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ১জন। নার্সিং সুপারভাইজার ১জন, হেল্থ এডুকেটর ১জন, কম্পিউটার অপারেটর ১জন, ক্যাশিয়ার ১জন, অফিস সহকারী কাম ডাটা এনট্রি অপারেটর ১জন, ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১জন ও ফিজিওথেরাপি ১জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ২জন, ভান্ডার রক্ষক ১জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪জন, স্বাস্থ্য সহকারী ৭জন ও অফিস সহায়ক ৪জন।

এছাড়াও পদ শূন্য রয়েছে উপজেলার নোনাহার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শাহ্ পোরশা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে ২জন মেডিকেল অফিসার। নিতপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছাওড় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঘাটনগর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে ৪জন মেডিকেল অফিসার। নিতপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১জনের পদ শূন্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে একজন চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা ডা. আরিফ হোসেন জানান, আমি একা দীর্ঘদিন ধরে এতোগুলো মানুষের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। একা মানুষের দ্বারা এতোগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে আমাকে হিমশিম খেতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজির আহমেদ জানান, আমরা চিকিৎসকসহ হাসপাতালে অন্যান্য শুন্যপদে লোকবলের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।