মালয়েশিয়া যেতে পারেননি গত বছর ৩১ মে’র মধ্যে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে দেশটিতে প্রবেশযোগ্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাত হাজার ৯৬৪ জন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি জানান, গত বছর ৫ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ২০২৪ সালের ৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় পর্যায়ক্রমে নেওয়ার বিষয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট টেকনিক্যাল গ্রুপ গঠন হয়।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জয়েন্ট টেকনিক্যাল গ্রুপ গঠনের পর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৭ হাজারের বেশি শ্রমিকদের তালিকা মালয়েশিয়ার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তথ্য যাচাই করে প্রাথমিকভাবে সাত হাজার ৯৬৪ জন শ্রমিকের একটি তালিকা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তাদের প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া প্রবেশের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন বন্ধের পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পথ উন্মুক্ত হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী দেশটিতে পাড়ি দেন। তবে টিকিট জটিলতায় যেতে পারেননি প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি শ্রমিক।