সৈয়দপুরে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের পরিবর্তে ফাঁকা পতিত জমিতে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্হানীয়না। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
শহরের স্মৃতি অম্লান চত্বরে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে ব্ক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন গুড্ডু, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক কাউন্সিলর রুবিনা বেগম, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সংগঠন স্টা্ন্ডার্ড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিহাবিলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি) সৈয়দপুর শাখার সভাপতি রিয়াজ আকবর, মোস্তাক আহমেদ, আজিজ মোহাম্মদ প্রমুখ।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন সাহেবপাড়ার বাসিন্দা যাদু শিল্পী মনোয়ার হোসেন।
বক্তারা বলেন, জীবন থাকতে রেলহাসপাতাল এলাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে দিবো না। যেখানে সরকার আশ্রয়হীনদের পূণর্বাসনের কথা ভাবছে সেখানে আমাদের উচ্ছেদ করার পরিকল্না নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আমরাও মেডিকেল কেলেজ চাই, কিন্ত গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করে নয়। বিকল্প স্থানে বা ফাঁকা জায়গায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি জানান তাঁরা। পরে মানববন্ধনকারীরা একটি স্মারকলিপি দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) এর হাতে তুলে দেন।
রেলের পূর্তবিভাগ জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে ঘিরে একটি রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতিপূর্বে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এলাকায় রেলওয়ে জমি দখল করে ৭৮টি পরিবার অবৈধ ভাবে বসবাস করছে। সাহেবপাড়া ও গার্ডপাড়া এলাকায় ৭২ জন রেলের কর্মচারীর নামে কোয়ার্টার বরাদ্ধ রয়েছে। যারা সরকারের নির্দেশে নির্ধারিত স্হানে মেডিকেল চায় না, তারা সৈয়দপুরের শত্রু। সৈয়দপুর রেলওয়ের জমিতে তারা এমনিতেই অবৈধ ভাবে বসবাস করছে। রেলবিভাগ তাদের এতদিন উচ্ছেদ না করার কারনেই সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান জানান, স্মারকলিপি পেয়েছি। রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনাটি উর্ধ্বতন মহলের। তবে এলাকাবাসীর দাবি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।