রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা রয়েছেন রানিং স্টাফের মধ্যে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের একজন জানিয়েছেন, রাত ১২টার আগের যেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে এখন। তবে রাত ১২টার পরের শিডিউলের কোনো ট্রেন যাচ্ছে না।
রেলপথ মন্ত্রণালয় স্টাফদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে । রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া/চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়াগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পত্র যোগাযোগের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এরই মধ্যে তাদের রানিং অ্যালাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া মাইলেজ অ্যালাউন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। রানিং স্টাফদের অন্যান্য দাবি আদায়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সচেষ্ট রয়েছে।
এ অবস্থায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করে রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য রেলওয়ের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো যাচ্ছে।