Dhaka ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান নদভীসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট

যশোরে এহসান গ্রুপের ৩০ গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চেয়ারম্যান মুফতি আবু তাহের নদভীসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত শেষেপিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আজিজুল হক আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নয় জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

অভিযুক্ত আরো আসামিরা হলো, এহসান গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক কাজী রবিউল ইসলাম, জিএম জুনায়েদ আলী, পরিচালক আজিজুর রহমান, মঈন উদ্দিন, মুফতি গোলাম রহমান, আব্দুল মতিন, পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, কলিমুল্লাহ কলি, মিজানুর রহমান, মুফতি ইউনুস আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, শাসুজ্জামান টিটো, যশোর শাখার ম্যানেজার আতাউল্লাহ, আব্দুল হালিম, লোকমান হোসেন মিয়াজী, আক্তারুজ্জামান ও এফও মোহাম্মদ আলী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত আসামিরা এহসান গ্রুপের গ্রাহকদের নানাভাবে বুঝিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখতে প্রলুব্ধ করেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখলে সুদবিহীন মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে নিশ্চয়তা দেন। সাধারণ ইসলাম প্রিয় মানুষ তাদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে এহসান গ্রুপে ৩০ জন গ্রাহক দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আমানত রাখেন।

প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছরে কয়েকজন আমানতকারীকে সামান্য কিছু মুনাফা দেন। এরপর ২০১৪ সালের ১ জুলাই রাতারাতি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। যশোরসহ এই প্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকর্তারা নিজেরা আত্মগোপন চলে যান। এ প্রতিষ্ঠানটি যশোর থেকে গ্রহকের ৩শ’২২ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকা নিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে ৩০ গ্রাহকের পক্ষে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এহসান গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়সহ ২৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার এহসানের গ্রাহক মফিজুল ইসলাম ইমন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ায় ওই ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নয়জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। এরা হলো, সংস্থান মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম সোনা মিয়া, সংস্থার এফও কমিটির সভাপতি শামছুর রহমান, সেক্রেটারি বাবর আলী, সংস্থার এফও কমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক, সংস্থার এফও কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সেলিমউল আজম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মোকসেদ আলী, এফও কমিটির সাবেক সেক্রেটারি মুফতী ফুরকান আহমেদ, এহসান গ্রুপের পরিচালক এসএম মিরাজুর রহমান ও হাফিজুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান নদভীসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট

Update Time : ০৯:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

যশোরে এহসান গ্রুপের ৩০ গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চেয়ারম্যান মুফতি আবু তাহের নদভীসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত শেষেপিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আজিজুল হক আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নয় জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

অভিযুক্ত আরো আসামিরা হলো, এহসান গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক কাজী রবিউল ইসলাম, জিএম জুনায়েদ আলী, পরিচালক আজিজুর রহমান, মঈন উদ্দিন, মুফতি গোলাম রহমান, আব্দুল মতিন, পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, কলিমুল্লাহ কলি, মিজানুর রহমান, মুফতি ইউনুস আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, শাসুজ্জামান টিটো, যশোর শাখার ম্যানেজার আতাউল্লাহ, আব্দুল হালিম, লোকমান হোসেন মিয়াজী, আক্তারুজ্জামান ও এফও মোহাম্মদ আলী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত আসামিরা এহসান গ্রুপের গ্রাহকদের নানাভাবে বুঝিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখতে প্রলুব্ধ করেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখলে সুদবিহীন মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে নিশ্চয়তা দেন। সাধারণ ইসলাম প্রিয় মানুষ তাদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে এহসান গ্রুপে ৩০ জন গ্রাহক দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আমানত রাখেন।

প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছরে কয়েকজন আমানতকারীকে সামান্য কিছু মুনাফা দেন। এরপর ২০১৪ সালের ১ জুলাই রাতারাতি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। যশোরসহ এই প্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকর্তারা নিজেরা আত্মগোপন চলে যান। এ প্রতিষ্ঠানটি যশোর থেকে গ্রহকের ৩শ’২২ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকা নিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে ৩০ গ্রাহকের পক্ষে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এহসান গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়সহ ২৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার এহসানের গ্রাহক মফিজুল ইসলাম ইমন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ায় ওই ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নয়জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। এরা হলো, সংস্থান মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম সোনা মিয়া, সংস্থার এফও কমিটির সভাপতি শামছুর রহমান, সেক্রেটারি বাবর আলী, সংস্থার এফও কমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক, সংস্থার এফও কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সেলিমউল আজম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মোকসেদ আলী, এফও কমিটির সাবেক সেক্রেটারি মুফতী ফুরকান আহমেদ, এহসান গ্রুপের পরিচালক এসএম মিরাজুর রহমান ও হাফিজুর রহমান।