Dhaka ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক ধর্মঘট, পথে পথে ভোগান্তি অর্ধ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগে

oplus_0

চলমান আঞ্চলিক বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটে দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছেন। বুধবার পথে পথে ভোগান্তিতে পরেছেন তারা।  দ্রুত শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন যাত্রীরা।

জানাগেছে, বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীকে হাফ ভাড়ায় বহন না করায় জের ধরে বরিশাল বাস স্ট্যান্ডে গাড়ী ভাংচুর ও শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আঞ্চলিক পরিবহন বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। বুধবার সকাল থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা, তালতলী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে যাত্রীরা তাদের গন্তব্য স্থানে যেতে নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন।  এতে ভোগান্তিতে পরেছে দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ লক্ষ মানুষ। নিরুপায় হয়ে কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, আমতলী ও তালতলীর যাত্রীরা বিকল্প উপায় টেম্পু ও মাহেন্দ্র গাড়ীতে গন্তব্য স্থানে চলাচল করছেন। অনেক যাত্রীদের গাড়ীর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষ করতে হয়েছে। এদিকে এ সুযোগে অটো, মাহেন্দ্র গাড়ী ও মোটর সাইকেল চালকরা দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা,আমতলী, তালতলী সড়কে আঞ্চলিক পরিবহন চলাচল করছে না। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

নারী যাত্রী শাহিদা বলেন, দুই সন্তান নিয়ে সুবিদখালী যেতে তালতলী থেকে অনেক কষ্টে আমতলী এসেছি। কিন্তু এসে দেখি গাড়ী নেই। নিরুপায় হয়ে মাহেন্দ্র গাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পটুয়াখালী যাচ্ছি।

যাত্রী আব্দুর রহিম বলেন, ভোলায় যাব কিন্তু সড়কে কোন গাড়ী নেই। এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হচ্ছে।

যাত্রী নাইমুর রহমান বলেন, ইনপোর্ট এক্সপোর্টের ব্যবসায়ী কাজে পায়রা বন্দরে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে বেনাপোলে যাব কিন্তু সড়কে গাড়ী না থাকায় বেশ ভোগান্তিতে পরেছি। কিভাবে যাব না নিয়ে ভাবছি?

বাস চালক আবু হানিফ ও মতিয়ার রহমান বলেন, যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই, সেখানে বাস চালিয়ে কি হবে? একটু কিছু হলেই ছাত্র ও যাত্রীরা মারধর ও গালাগালি করে। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও গাড়ী চালাবো। নইলে না।

বরগুনা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক অহিদুজ্জামান সজল বলেন, শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন তাই সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধান হলেও সড়কে গাড়ী চলাচল শুরু করবে।

আমতলী থানা ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, সড়কে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবসা জোরদার করা হয়েছে। তবে কোথাও কোন সমস্যা নেই?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ক্রেতাদের জন্য পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ নিয়ে এলো অনার বাংলাদেশ

শ্রমিক ধর্মঘট, পথে পথে ভোগান্তি অর্ধ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগে

Update Time : ০৫:১৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

চলমান আঞ্চলিক বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটে দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছেন। বুধবার পথে পথে ভোগান্তিতে পরেছেন তারা।  দ্রুত শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন যাত্রীরা।

জানাগেছে, বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীকে হাফ ভাড়ায় বহন না করায় জের ধরে বরিশাল বাস স্ট্যান্ডে গাড়ী ভাংচুর ও শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আঞ্চলিক পরিবহন বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। বুধবার সকাল থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা, তালতলী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে যাত্রীরা তাদের গন্তব্য স্থানে যেতে নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন।  এতে ভোগান্তিতে পরেছে দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ লক্ষ মানুষ। নিরুপায় হয়ে কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, আমতলী ও তালতলীর যাত্রীরা বিকল্প উপায় টেম্পু ও মাহেন্দ্র গাড়ীতে গন্তব্য স্থানে চলাচল করছেন। অনেক যাত্রীদের গাড়ীর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষ করতে হয়েছে। এদিকে এ সুযোগে অটো, মাহেন্দ্র গাড়ী ও মোটর সাইকেল চালকরা দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা,আমতলী, তালতলী সড়কে আঞ্চলিক পরিবহন চলাচল করছে না। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

নারী যাত্রী শাহিদা বলেন, দুই সন্তান নিয়ে সুবিদখালী যেতে তালতলী থেকে অনেক কষ্টে আমতলী এসেছি। কিন্তু এসে দেখি গাড়ী নেই। নিরুপায় হয়ে মাহেন্দ্র গাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পটুয়াখালী যাচ্ছি।

যাত্রী আব্দুর রহিম বলেন, ভোলায় যাব কিন্তু সড়কে কোন গাড়ী নেই। এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হচ্ছে।

যাত্রী নাইমুর রহমান বলেন, ইনপোর্ট এক্সপোর্টের ব্যবসায়ী কাজে পায়রা বন্দরে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে বেনাপোলে যাব কিন্তু সড়কে গাড়ী না থাকায় বেশ ভোগান্তিতে পরেছি। কিভাবে যাব না নিয়ে ভাবছি?

বাস চালক আবু হানিফ ও মতিয়ার রহমান বলেন, যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই, সেখানে বাস চালিয়ে কি হবে? একটু কিছু হলেই ছাত্র ও যাত্রীরা মারধর ও গালাগালি করে। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও গাড়ী চালাবো। নইলে না।

বরগুনা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক অহিদুজ্জামান সজল বলেন, শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন তাই সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধান হলেও সড়কে গাড়ী চলাচল শুরু করবে।

আমতলী থানা ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, সড়কে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবসা জোরদার করা হয়েছে। তবে কোথাও কোন সমস্যা নেই?