Dhaka ০১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

oppo_2

2

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের জনপদ। মাঘের জারে বাঘ কাঁন্দে। এই প্রবাদ বাস্তবে রুপ নিয়ে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের ঠেলায় কাঁপছেন।  মাঘের হিমেল হওয়ায় বিপর্যস্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ  চেষ্টা করছেন।

হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ার শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে গলি ও মহাসড়কে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

ভ্যান চালক কুদ্দুস মিয়া (৫৫) জানান, ঠান্ডায় অবস্থা কাহিল। শুধু মাত্র পেটের জ্বালা মিটাতে রাস্তায় নেমেছি ভ্যান নিয়ে। কিন্তু কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।  তবুও সংসারের প্রয়োজনে ভ্যান নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়েছি।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  সকাল ৭টায় সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ২০০ মিটারের কম।  বেলা ১২ টার আগে  আকাশ পরিস্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে সারা সৈয়দপুর। এতে করে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। আকাশ পরিস্কার হলেই বিমান চলাচল শুরু হবে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াসিমুল বারী জয় জানান, শীতজনিত রোগে বর্হিবিভাগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারনে চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

জন দেখেছেন : ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
2

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের জনপদ। মাঘের জারে বাঘ কাঁন্দে। এই প্রবাদ বাস্তবে রুপ নিয়ে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের ঠেলায় কাঁপছেন।  মাঘের হিমেল হওয়ায় বিপর্যস্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ  চেষ্টা করছেন।

হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ার শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে গলি ও মহাসড়কে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

ভ্যান চালক কুদ্দুস মিয়া (৫৫) জানান, ঠান্ডায় অবস্থা কাহিল। শুধু মাত্র পেটের জ্বালা মিটাতে রাস্তায় নেমেছি ভ্যান নিয়ে। কিন্তু কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।  তবুও সংসারের প্রয়োজনে ভ্যান নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়েছি।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  সকাল ৭টায় সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ২০০ মিটারের কম।  বেলা ১২ টার আগে  আকাশ পরিস্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে সারা সৈয়দপুর। এতে করে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। আকাশ পরিস্কার হলেই বিমান চলাচল শুরু হবে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াসিমুল বারী জয় জানান, শীতজনিত রোগে বর্হিবিভাগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারনে চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।