Dhaka ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার সৈকতে একদিনে আরো ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বোরি’র গবেষক দল। এ নিয়ে গত ২৭ দিনে ৯৮ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪ দিনে পাওয়া গিয়ে ছিল ৮৪ টি কাছিমের মরদেহ।বুধবার সন্ধ্যা সকাল সোয়া ৭ টা থেকে বিকাল সোয়া ৫ টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের মাঙ্গালা পাড়া থেকে নাজিরারটেক পয়েন্ট এলাকা থেকে ১৪ টি কাছিমগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া।উদ্ধার করা মৃত কাছিমগুলো জলপাই রঙের অলিভ রিডলে প্রজাতির।শিমুল ভূঁইয়া বলেন, সম্প্রতি স্থানীয়রা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাছিমের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন তাদের ( বোরি )।

এর প্রেক্ষিতে বোরি’র ৫ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি গবেষক দল গঠন করেন কাছিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে।বোরি’র এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের রামু উপজেলার মাঙ্গালা পাড়া থেকে বোরি’র বৈজ্ঞানিক দল চতুর্থ দফার জরিপ কাজ শুরু করে। বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক পয়েন্ট পর্যন্ত জরিপ কাজ চালিয়ে ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এগুলোর মধ্যে মাঙ্গালা পাড়া সৈকত থেকে ১ টি, পেঁচারদ্বীপে ২ টি, সালসা বিচে ৩ টি, হিমছড়িতে ৪ টি এবং দরিয়ানগর থেকে ৪ টি মৃত কাছিম উদ্ধার হয়েছে। শিমুল বলেন, ‘নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন মৌসুম।

এসময় মা কাছিম ডিম পাড়তে গভীর সাগর থেকে উপকূলে আসে। তখন অনেক কাছিম জেলেদের জালে আটকে এবং সমুদ্রে চলাচলকারি বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, কাছিমগুলো গেলো এক-দেড় মাসের মধ্যে মারা গেছে। এক-দুই দিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো মৃত কাছিমের খোলস পেয়েছি।বোরি’র দেওয়া তথ্য মতে, গত ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফের বিভিন্ন সৈকত এলাকায় ২৯ টি মৃত কাছিম উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে ৩ টি মৃত ডলফিন ও ১ টি মৃত পরপইসও উপকূলে ভেসে এসেছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

কক্সবাজার সৈকতে একদিনে আরো ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার

Update Time : ১১:৫৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বোরি’র গবেষক দল। এ নিয়ে গত ২৭ দিনে ৯৮ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪ দিনে পাওয়া গিয়ে ছিল ৮৪ টি কাছিমের মরদেহ।বুধবার সন্ধ্যা সকাল সোয়া ৭ টা থেকে বিকাল সোয়া ৫ টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের মাঙ্গালা পাড়া থেকে নাজিরারটেক পয়েন্ট এলাকা থেকে ১৪ টি কাছিমগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া।উদ্ধার করা মৃত কাছিমগুলো জলপাই রঙের অলিভ রিডলে প্রজাতির।শিমুল ভূঁইয়া বলেন, সম্প্রতি স্থানীয়রা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাছিমের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন তাদের ( বোরি )।

এর প্রেক্ষিতে বোরি’র ৫ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি গবেষক দল গঠন করেন কাছিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে।বোরি’র এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের রামু উপজেলার মাঙ্গালা পাড়া থেকে বোরি’র বৈজ্ঞানিক দল চতুর্থ দফার জরিপ কাজ শুরু করে। বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক পয়েন্ট পর্যন্ত জরিপ কাজ চালিয়ে ১৪ টি কাছিমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এগুলোর মধ্যে মাঙ্গালা পাড়া সৈকত থেকে ১ টি, পেঁচারদ্বীপে ২ টি, সালসা বিচে ৩ টি, হিমছড়িতে ৪ টি এবং দরিয়ানগর থেকে ৪ টি মৃত কাছিম উদ্ধার হয়েছে। শিমুল বলেন, ‘নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন মৌসুম।

এসময় মা কাছিম ডিম পাড়তে গভীর সাগর থেকে উপকূলে আসে। তখন অনেক কাছিম জেলেদের জালে আটকে এবং সমুদ্রে চলাচলকারি বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, কাছিমগুলো গেলো এক-দেড় মাসের মধ্যে মারা গেছে। এক-দুই দিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো মৃত কাছিমের খোলস পেয়েছি।বোরি’র দেওয়া তথ্য মতে, গত ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফের বিভিন্ন সৈকত এলাকায় ২৯ টি মৃত কাছিম উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে ৩ টি মৃত ডলফিন ও ১ টি মৃত পরপইসও উপকূলে ভেসে এসেছিল।