Dhaka ০১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান, ধর্মঘট প্রত্যাহার

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যে অচলাবস্থার পরিবেশ তৈরী হয়েছিল তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে ভোলার মানুষ। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভোলার অভ্যান্তরে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণার ১২ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকলকে নিয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।

জানা গেছে, ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হয়েছিল তা বন্ধের লক্ষ্যে বুধবার রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকল রাজননৈতিক দল ও বাস-সিএনজি’র নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠকে এই সিন্ধান্ত হয়ে যে, বাস-সিএনজি পূর্বের ন্যায়ই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। কেউ কারো প্রতি কোন প্রকার হস্তক্ষেপ এবং নৈরাজ্যের সাথে জড়াবে না। অপরদিকে কেউ কাউকে আসামী করে কোন মামলা মোকদ্দমায় জড়াবে না। সকাল থেকে ভোলার থেকে সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বাসগুলো তাদের গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার শরীফুল হক, ভোলা পৌর সভার প্রশাসক মিজানুর রহমান, নৌ-বাহিনীর কমান্ডার, কোষ্টগার্ডের প্রতিনিধি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জেলা জামায়াতের আমীর জাকির হোসাইন, পৌর আমীর জামাল উদ্দিন, জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি আতাউর রহমান মোমতাজি, সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনসহ বাস ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান, ধর্মঘট প্রত্যাহার

Update Time : ০৫:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যে অচলাবস্থার পরিবেশ তৈরী হয়েছিল তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে ভোলার মানুষ। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভোলার অভ্যান্তরে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণার ১২ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকলকে নিয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।

জানা গেছে, ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হয়েছিল তা বন্ধের লক্ষ্যে বুধবার রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকল রাজননৈতিক দল ও বাস-সিএনজি’র নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠকে এই সিন্ধান্ত হয়ে যে, বাস-সিএনজি পূর্বের ন্যায়ই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। কেউ কারো প্রতি কোন প্রকার হস্তক্ষেপ এবং নৈরাজ্যের সাথে জড়াবে না। অপরদিকে কেউ কাউকে আসামী করে কোন মামলা মোকদ্দমায় জড়াবে না। সকাল থেকে ভোলার থেকে সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বাসগুলো তাদের গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার শরীফুল হক, ভোলা পৌর সভার প্রশাসক মিজানুর রহমান, নৌ-বাহিনীর কমান্ডার, কোষ্টগার্ডের প্রতিনিধি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জেলা জামায়াতের আমীর জাকির হোসাইন, পৌর আমীর জামাল উদ্দিন, জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি আতাউর রহমান মোমতাজি, সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনসহ বাস ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।