বাংলাদেশ স্কাউট রাজশাহীর তানোর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পদাধিকার বলে নির্বাহী অফিসার ইউএনও খায়রুল ইসলাম সভাপতি ও সর্বসম্মতিক্রমে কৃঞ্চপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিউল ইসলাম শিশির কমিশনার মনোনীত হয়েছেন। এছাড়াও সহসভাপতি মনোনীত হয়েছেন টেটনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, তানোর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, কয়েল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, গোকুল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন গাগরন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তকলিমা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনীত হয়েছেন কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, গ্রুপ সভাপতি মনোনীত হয়েছেন তালন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান, ময়েনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনজুয়ারা বেগম, কালীগঞ্জ হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও বনকেশর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ। সম্মেলনে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং মোট ৫২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হবে বলে জানান নব গঠিত আংশিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউট রাজশাহী জেলা ও মেট্রোপলিটনের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌস, কলমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী, পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম মুন্টু, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব স্বপন প্রমুখ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলন না করার ক্ষোভে বক্তব্য দিয়ে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী, প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম মুন্টু, বালিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাতপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।
শিক্ষক হযরত আলী ও মতিউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্মেলনের আগে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু সেটা না করেই কতিপয় শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলেমিশে আগে থেকেই সবকিছু করে রেখেছিল। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় লাখলাখ টাকার বিনিময়ে কৃঞ্চপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়েছেন। সে সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তাঁকে কিভাবে পদে দেয়া হয়। যার কারনে আমরাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা সভা স্থল ত্যাগ করেছি। বিগত সরকারের সময় কিভাবে কমিটি হয়েছে কেউ জানতে পারত না। একই কায়দায় এবারো কমিটি করা হয়েছে। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সরকার পতনের পর তার নামে দুটি নাশকতার মামলা হয়। অবশ্য দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে ছিলেন। জামিন পাওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে আসেন। এমন বিতর্কিত দলবাজ শিক্ষক কে কেনো সম্পাদকের মত পদ দেয়া হল। তবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সম্মেলনে প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষক দের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। শিক্ষকরা যাকে ভালো মনে করেছেন তাকে প্রতিনিধি করেছেন।
এসময় উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।