বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। ভর্তি হন দ্য লন্ডন ক্লিনিকে। সেখানে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন। এখন সেখানে থেকে অন্যান্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন খালেদা জিয়া জানা গেছে।
নেত্রীর ফেরার কথা জানতে উগ্রীব দেশের বিএনপি নেতকর্মী ও তার শুভাকাঙ্খীরা । এ নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য লন্ডন থেকে শুক্রবার রাতে দেশের একটি প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ম্যাডামের মূল চিকিৎসা শেষ বলা যায়। এখন ফলোআপ করতে হবে। ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে আনন্দে সময় পার করায় মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। তিনিও শিগগির দেশে ফিরতে চান। তবে তারেক রহমান চাচ্ছেন, ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাকে কাছে রাখতে। ফলে ম্যাডাম ঠিক কবে দেশে ফিরবেন, এটি তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান। লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন তার চিকিৎসা চলে। এর পর ২৪ জানুয়ারি রাতে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
দুই দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনে সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া দেশে ফেরার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব। তিনি বলেছেন, ‘চলো আমরা দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাই। দেশই আমাদের জন্য ভালো’।
জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন। তার বেশ কিছু পরীক্ষা লন্ডন ক্লিনিক করেছে, যা আমরা করতে পারিনি। সেগুলোর রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সেসব পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কত দ্রুত বাংলাদেশে ফিরবেন?
তিনি জানান, খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে আছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় নিয়মিত ফলোআপ করছেন। যুক্তরাজ্যের নিয়ম মেনে বাসায় তার চিকিৎসা চলছে।