Dhaka ০২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সৈয়দপুরের জনপদ দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটার

oppo_2

মৌসুমের সবচেয়ে ঘন কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের সৈয়দপুরের জনপদ। এর ফলে লোকজন খুব একটা বের হচ্ছেন না।  দৃষ্টিসীমা মাত্র ৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।  এতে করে বেশিদুর দেখতে না পারায় মহাসড়ক ও আভ্যন্তরিণ সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১৫ দিন ধরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।

রাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জনপদ।  ভোরে ও দিনের প্রথম ভাগে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এতে করে কর্মজীবী লোকেরা খুব একটা কাজে যাচ্ছেন না।  শ্রমিজীবীদের আয়ও কমেছে অর্ধেকে।  দিনের বেশির ভাগ সময় আগুন তাপাচ্ছেন লোকজন।  প্রচন্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবূ হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার মানুষ । বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা । বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

সৈয়দপুরের রিকশা চালক আহাদ করিম (৫৭) জানান, ঘনকুয়াশার সাথে কুয়াশা পড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সেই সাথে ঠান্ডায় হাত-পা কাঁপছে । গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে । তবুও পেটের দায়ে বের হয়েছি।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রা থাকলেও প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এবং জনপদ কুয়াশায় ঢেকে গেছে।  বেলা ১টার আগে আকাশ পরিস্কার হওয়ার সম্ভাবণা কম।  বর্তমানে ভিজিবিলিটি (দৃস্টিসীমা) মাত্র ৫০ মিটার বিরাজ করছে। বিমান চলাচলের জন্য ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন।  তিনি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সৈয়দপুরের জনপদ দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটার

Update Time : ০৫:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌসুমের সবচেয়ে ঘন কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের সৈয়দপুরের জনপদ। এর ফলে লোকজন খুব একটা বের হচ্ছেন না।  দৃষ্টিসীমা মাত্র ৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।  এতে করে বেশিদুর দেখতে না পারায় মহাসড়ক ও আভ্যন্তরিণ সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১৫ দিন ধরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।

রাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জনপদ।  ভোরে ও দিনের প্রথম ভাগে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এতে করে কর্মজীবী লোকেরা খুব একটা কাজে যাচ্ছেন না।  শ্রমিজীবীদের আয়ও কমেছে অর্ধেকে।  দিনের বেশির ভাগ সময় আগুন তাপাচ্ছেন লোকজন।  প্রচন্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবূ হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার মানুষ । বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা । বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

সৈয়দপুরের রিকশা চালক আহাদ করিম (৫৭) জানান, ঘনকুয়াশার সাথে কুয়াশা পড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সেই সাথে ঠান্ডায় হাত-পা কাঁপছে । গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে । তবুও পেটের দায়ে বের হয়েছি।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রা থাকলেও প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এবং জনপদ কুয়াশায় ঢেকে গেছে।  বেলা ১টার আগে আকাশ পরিস্কার হওয়ার সম্ভাবণা কম।  বর্তমানে ভিজিবিলিটি (দৃস্টিসীমা) মাত্র ৫০ মিটার বিরাজ করছে। বিমান চলাচলের জন্য ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন।  তিনি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় চলছে।