Dhaka ০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি বিলুপ্ত দাবী করে তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠনের দাবীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খোলা চিঠি দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান।

গতকাল সোমবার সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মাধ্যমে এই খোলা চিঠি প্রেরন করা হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং তার ফেসবুকে এই খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন। আর এ চিঠি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

খোলা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,  আমরা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলরগনসহ গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আপনার (তারেক রহমান) সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র পদ প্রত্যাশী এবং জেলা, পৌর-থানা-উপজেলার নেতাকর্মীদের মনে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি রয়েছে। একই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের আটটি জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বর্তমান কমিটি বহাল রেখেই সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে দলের মধ্যে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেতা কর্মীদের প্রশ্ন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি হওয়ার পর বর্তমান মেয়াদ উর্ত্তীণ জেলা বিএনপি’র কমিটি বহাল আছে! নাকি গঠনতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে? না হয়ে থাকলে জেলা বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত করে অল্প সময়ের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করা উচিত বলে মনে করছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুমোদিত  সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের প্রায় সকল ইউনিটেই সিলেকশনের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন ইউনিট কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়নি, যে সকল পৌর-থানা-উপজেলার আংশিক পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়েছে সেগুলোও সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। এই সকল আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ অন্তত পাঁচ বছর অতিক্রম করেছে, সকল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫-৭ জন যা বিগত পাঁচ বছরে বর্ধিত করা হয় নাই।

এহন পরিস্থিতিতে  আগামী সম্মেলনের ভোটার হবে কারা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক পদপ্রত্যাশীদের কাছে স্পষ্ট নয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জেলা বিএনপি’র সম্মেলনের আওতাধীন কোন পৌরসভা/থানা/উপজেলা কমিটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়নি, সকল কমিটি বর্তমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি/সধারণ সম্পাদক মনোনীত পকেট কমিটি। বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আগামী সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এমতাবস্থায় অন্যান্য কাউন্সিলরদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কতটুকু অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ রয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র মেয়াদ উর্ত্তীণ দীর্ঘ ৭ বছরের বর্তমান কমিটি সহ সকল পৌর-থানা-উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ দীর্ঘ ৫ বছরের কমিটি বিলুপ্ত করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলনের ব্যবস্থা করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ডেলিগেটরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে ১৮টি ইউনিটের ১৮১৮জন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়।

এবিষয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন,একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় যেকোন সিদ্ধান্ত জেলা কমিটি পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দলের হাই কমান্ডের উপর আনুগত্যশীল। বিধায় কে কি লিখে কোথায় পাঠালো সেটা সেবিষয়ে কোন মন্তব্য কররোনা। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে তার নিকট এমন স্ট্যাটাসের উত্তর জানতে চান। তিনি াারো বলেন,বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত এবং জেলা কমিটির সম্মেলন নিয়ে এভাবে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করতে পারেনা। এতে দলের ভাবমুর্তি খুন্ন হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

অপরদিকে মির্জা মোস্তফা জামান বলেন,যা সত্য তাই ফেসবুকে পোষ্ট করেছি। নিয়ম মেনেই দলের হাই কমান্ডের নিকট আবেদন করেছি। হাই কমান্ড অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ওয়েব সাইটে প্রকাশ

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি বিলুপ্ত দাবী করে তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি

Update Time : ০৬:২১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠনের দাবীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খোলা চিঠি দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান।

গতকাল সোমবার সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মাধ্যমে এই খোলা চিঠি প্রেরন করা হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং তার ফেসবুকে এই খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন। আর এ চিঠি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

খোলা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,  আমরা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলরগনসহ গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আপনার (তারেক রহমান) সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র পদ প্রত্যাশী এবং জেলা, পৌর-থানা-উপজেলার নেতাকর্মীদের মনে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি রয়েছে। একই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের আটটি জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বর্তমান কমিটি বহাল রেখেই সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে দলের মধ্যে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেতা কর্মীদের প্রশ্ন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি হওয়ার পর বর্তমান মেয়াদ উর্ত্তীণ জেলা বিএনপি’র কমিটি বহাল আছে! নাকি গঠনতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে? না হয়ে থাকলে জেলা বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত করে অল্প সময়ের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করা উচিত বলে মনে করছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুমোদিত  সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের প্রায় সকল ইউনিটেই সিলেকশনের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন ইউনিট কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়নি, যে সকল পৌর-থানা-উপজেলার আংশিক পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়েছে সেগুলোও সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। এই সকল আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ অন্তত পাঁচ বছর অতিক্রম করেছে, সকল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫-৭ জন যা বিগত পাঁচ বছরে বর্ধিত করা হয় নাই।

এহন পরিস্থিতিতে  আগামী সম্মেলনের ভোটার হবে কারা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক পদপ্রত্যাশীদের কাছে স্পষ্ট নয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জেলা বিএনপি’র সম্মেলনের আওতাধীন কোন পৌরসভা/থানা/উপজেলা কমিটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়নি, সকল কমিটি বর্তমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি/সধারণ সম্পাদক মনোনীত পকেট কমিটি। বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আগামী সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এমতাবস্থায় অন্যান্য কাউন্সিলরদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কতটুকু অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ রয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র মেয়াদ উর্ত্তীণ দীর্ঘ ৭ বছরের বর্তমান কমিটি সহ সকল পৌর-থানা-উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ দীর্ঘ ৫ বছরের কমিটি বিলুপ্ত করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলনের ব্যবস্থা করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ডেলিগেটরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে ১৮টি ইউনিটের ১৮১৮জন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়।

এবিষয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন,একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় যেকোন সিদ্ধান্ত জেলা কমিটি পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দলের হাই কমান্ডের উপর আনুগত্যশীল। বিধায় কে কি লিখে কোথায় পাঠালো সেটা সেবিষয়ে কোন মন্তব্য কররোনা। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে তার নিকট এমন স্ট্যাটাসের উত্তর জানতে চান। তিনি াারো বলেন,বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত এবং জেলা কমিটির সম্মেলন নিয়ে এভাবে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করতে পারেনা। এতে দলের ভাবমুর্তি খুন্ন হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

অপরদিকে মির্জা মোস্তফা জামান বলেন,যা সত্য তাই ফেসবুকে পোষ্ট করেছি। নিয়ম মেনেই দলের হাই কমান্ডের নিকট আবেদন করেছি। হাই কমান্ড অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।