Dhaka ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা

ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং জানিয়েছেন কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে। পাশাপশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীঘ্রই একজন কানাডিয়ান মন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানান কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং।

চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত। প্রধান উপদেষ্টার সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার প্রতি তিনি কানাডার সমর্থনের আশ্বাস দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার কর্তৃক চিহ্নিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কানাডা সরকারে পাচার করা অর্থ জব্দ করার জন্য কানাডার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।

গণতন্ত্রে উত্তরণের ক্ষেত্রে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলোতে কানাডার সমর্থনেরও প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রদূত। অজিত সিং বলেন, আপনি যে দুর্দান্ত কাজ করছেন তা আমরা সমর্থন করি। যে অগ্রগতি হয়েছে, তার আমরা প্রশংসা করি।

এ সময় প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে উত্তর আমেরিকায় পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে যুক্ত রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে এবং এর একটি অংশ কানাডায় পাচার করা হয়েছে, যার মধ্যে টরন্টোর কুখ্যাত ‘বেগম পাড়া’ পাড়ায় সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে। তারা আমাদের জনগণের কাছ থেকে অর্থ চুরি করে এ সম্পদ কিনেছেন। এই সম্পদ উদ্ধারে আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন। এটি আমাদের জনগণের টাকা।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকার আরও কানাডিয়ান বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা আপনার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই। আমরা চাই, কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক বাংলাদেশি এখন কানাডায় বসবাস করেন পড়াশোনা করেন। ঢাকায় ভিসা অফিস স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এ সময় সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ওয়েব সাইটে প্রকাশ

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা

Update Time : ০৬:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং জানিয়েছেন কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে। পাশাপশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীঘ্রই একজন কানাডিয়ান মন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানান কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং।

চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত। প্রধান উপদেষ্টার সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার প্রতি তিনি কানাডার সমর্থনের আশ্বাস দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার কর্তৃক চিহ্নিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কানাডা সরকারে পাচার করা অর্থ জব্দ করার জন্য কানাডার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।

গণতন্ত্রে উত্তরণের ক্ষেত্রে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলোতে কানাডার সমর্থনেরও প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রদূত। অজিত সিং বলেন, আপনি যে দুর্দান্ত কাজ করছেন তা আমরা সমর্থন করি। যে অগ্রগতি হয়েছে, তার আমরা প্রশংসা করি।

এ সময় প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে উত্তর আমেরিকায় পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে যুক্ত রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে এবং এর একটি অংশ কানাডায় পাচার করা হয়েছে, যার মধ্যে টরন্টোর কুখ্যাত ‘বেগম পাড়া’ পাড়ায় সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে। তারা আমাদের জনগণের কাছ থেকে অর্থ চুরি করে এ সম্পদ কিনেছেন। এই সম্পদ উদ্ধারে আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন। এটি আমাদের জনগণের টাকা।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকার আরও কানাডিয়ান বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা আপনার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই। আমরা চাই, কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক বাংলাদেশি এখন কানাডায় বসবাস করেন পড়াশোনা করেন। ঢাকায় ভিসা অফিস স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এ সময় সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।