Dhaka ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প

বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, ‘বিনা নোটিসে’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে।

এসময় বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ডিপো থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রাখার কথা বলেছে ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন এবং বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল।

এদিন রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের বাঘাবাড়ি কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও ডিলার সমিতি, সিরাজগঞ্জ জেলা পেট্রোল পাম্প ও ডিলার মালিক সমিতি, বাঘাবাড়ি ঘাট পাম্প মালিক সমিতি ও উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি সমবায় সমিতি বৈঠক করে।

সে বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এতে আরও বলা হয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়ম-কানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে আমরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

কোনো নোটিশ ছাড়া তারা মূলত পাম্পগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করে মো. আব্দুল জলিল বলেন, হামিম পাম্পে মিটার ফেলে দেওয়া ও অতি উৎসাহিতভাবে ড্রেন খুলে দেওয়া হয়, যেন পাম্পে গাড়ি ঢুকতে না পারে। একইভাবে আনিকা পাম্পেও ভাঙচুর করা হয়।

প্রতিবছর উচ্ছেদ অভিযান চললেও ২৬ বছরে পুরোনো পাম্পে কখনও এই ধরনের অভিযান দেখা যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমাদেরকে কোনো নোটিশ কিংবা সময় দিয়েছে, এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট যদি দেখাতে পারে তাহলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু আমাদেরকে কোনো কিছু না বলে মাইকিং করে। এ ধরনের মাইকিং অনেক শোনা গেলেও পাম্পের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। এই পামগুলো তো একদিনের জন্য না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সুন্দরগঞ্জে প্রস্তুতি মূলক সভা

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প

Update Time : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, ‘বিনা নোটিসে’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে।

এসময় বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ডিপো থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রাখার কথা বলেছে ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন এবং বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল।

এদিন রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের বাঘাবাড়ি কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও ডিলার সমিতি, সিরাজগঞ্জ জেলা পেট্রোল পাম্প ও ডিলার মালিক সমিতি, বাঘাবাড়ি ঘাট পাম্প মালিক সমিতি ও উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি সমবায় সমিতি বৈঠক করে।

সে বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এতে আরও বলা হয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়ম-কানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে আমরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

কোনো নোটিশ ছাড়া তারা মূলত পাম্পগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করে মো. আব্দুল জলিল বলেন, হামিম পাম্পে মিটার ফেলে দেওয়া ও অতি উৎসাহিতভাবে ড্রেন খুলে দেওয়া হয়, যেন পাম্পে গাড়ি ঢুকতে না পারে। একইভাবে আনিকা পাম্পেও ভাঙচুর করা হয়।

প্রতিবছর উচ্ছেদ অভিযান চললেও ২৬ বছরে পুরোনো পাম্পে কখনও এই ধরনের অভিযান দেখা যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমাদেরকে কোনো নোটিশ কিংবা সময় দিয়েছে, এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট যদি দেখাতে পারে তাহলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু আমাদেরকে কোনো কিছু না বলে মাইকিং করে। এ ধরনের মাইকিং অনেক শোনা গেলেও পাম্পের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। এই পামগুলো তো একদিনের জন্য না।