বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার বিষয়টি উল্লেখ করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাফিসা আরেফীন বলেছেন, আন্দোলনে অধ্যয়নরত যেসব শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছিল, সেসব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফেরার আহবান জানাচ্ছি। পড়ালেখা বাদ দিয়ে অন্য কোন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করা ঠিক হবে না। এছাড়াও লেখাপড়া শেষ করে যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিজেকে জড়ানোর পরামর্শ দেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিল আফরোজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার শাহাবুদ্দিন আহসান, কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেন, সমন্বয়ক হাফিজ মাহমুদ মাহিনসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বন কর্মকতারা, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যে সকল অস্ত্র সিজ করা হয়ে তা এখনো ফেরত আসেনি। বিষয়টি নিয়ে এসপি সাহেবের সাথে কথা বলবো। পুলিশ যাতে নির্ভয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে। এসময় পুলিশের ভয় কাটানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা কারো সাথে বিবাদে না জড়িয়ে সামাজিক ভাবে দায়মুক্ত থাকতে চাই। তা হলে কেউ আমাদের
বাধাগ্রস্থ্য করতে পারবেন না। আমরা যদি আইন ভাঙ্গার প্রতিযোগীতায় নেমে যায়, তা হলে হবে না। আমাদের ভিতরে আইন মানার বোধ তৈরী করতে হবে। আইন না ভাঙ্গার প্রবনতা যদি চলমান থাকে তা হলে যারা এসব করতে চায় তারা এক সময় আইন ভাঙ্গার প্রবনতা থেকে বেড়িয়ে আসবে। আমরা সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক নৈতিকতার জায়গায় আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও বন ও পরিবেশ রক্ষা, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাসমান দোকান উচ্ছেদসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহযোগীতা করার জন্য সকলকে আহব্বান করেন।