Dhaka ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে মুক্তিপণের দাবিতে আবারো ৫ জনকে অপহরণ

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ী এলাকায় কাঠ সংগ্রহকালে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দূর্বৃত্তরা।গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাকমা পাড়া সংলগ্ন পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির।

অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোঃ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মোঃ আবুইয়া (২০)।ভূক্তভোগী স্বজনদের বরাতে হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। দূর্বৃত্তদের কবল থেকে ফিরে আসা লোকজন জানিয়েছেন, পাহাড়ী এলাকায় কাঠ সংগ্রহের সময় দূর্বৃত্তরা তাদের জিন্মি করে।

পরে অন্যদের জন্য মুক্তিপণ আদায়ের শর্তে ১০ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের অবহিত করেছেন।স্থানীয় এ ইউপি সদস্য বলেন, ঘটনার সময় তিনি কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছিলেন। স্বজনরা মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন। পরে তিনি ঘটনাটি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, বিষয়টি তিনি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ভূক্তভোগীদের স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  তারপরও ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

টেকনাফে মুক্তিপণের দাবিতে আবারো ৫ জনকে অপহরণ

Update Time : ০৮:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ী এলাকায় কাঠ সংগ্রহকালে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দূর্বৃত্তরা।গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাকমা পাড়া সংলগ্ন পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির।

অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোঃ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মোঃ আবুইয়া (২০)।ভূক্তভোগী স্বজনদের বরাতে হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। দূর্বৃত্তদের কবল থেকে ফিরে আসা লোকজন জানিয়েছেন, পাহাড়ী এলাকায় কাঠ সংগ্রহের সময় দূর্বৃত্তরা তাদের জিন্মি করে।

পরে অন্যদের জন্য মুক্তিপণ আদায়ের শর্তে ১০ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের অবহিত করেছেন।স্থানীয় এ ইউপি সদস্য বলেন, ঘটনার সময় তিনি কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছিলেন। স্বজনরা মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন। পরে তিনি ঘটনাটি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, বিষয়টি তিনি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ভূক্তভোগীদের স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  তারপরও ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।