Dhaka ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়ীটি এখন ধ্বংসস্তুপ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী ও রক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাড়ীটি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওই বাড়ীতে ভাংচুর চালায় এবং আগুন দেয়। রাত ১টার দিকে বাসভবনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা উল্লাসে মেতে উঠেন। বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

এগিকে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল যুবক ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে থেকে আওয়ামীলীগ বিরোধী ‘আওয়ামীলীগের আস্তানা এ ভোলাতে রাখবো না’, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’ শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা বাড়ীটির প্রধান গেট ভেঙ্গে প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করে। বাসার সকল আসবাবপত্র রাস্তায় ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া তোফায়েল আহমেদের বাড়ীতে হামলার পাশাপাশি তার বাড়ীর পার্শ্বেই অবস্থিত জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম নকীবের বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। রাতে সাবেক এই সাংসদের বাড়ীতে আগুন দিলে আশপাশের বাসাবাড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে কিংবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতে এবং আজ সকালেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকেই ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে ঘর থেকে বেড় হতে দেখা যায়নি। ঘটনার বিষয়ে ভোলা মডেল থানার ওসি হাসনাইন পারভেজকে গত রাত এবং আজ বৃহস্পতিবার একাধিকবার ফোন করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তোফায়েল আহমেদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো বাড়ীটি একটি ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। আগুন দিয়ে পুরো বাড়িটি ভষ্ম করে দেয়া হয়েছে। যেখানে তাকানো হয়েছে দেখা গেছে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের ধ্বংসযজ্ঞ। বাড়ীটির দেয়ালে দেয়ালে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। বাড়ীটির দ্বিতীয় তলায় এখনও আগুনের লেলিহান শিখা বিদ্যমান রয়েছে। (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। এছাড়া বাড়ীটির মূল্যবান আসবাবপত্র যা ছিল তা রাত থেকে ভোর এবং ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত যে যেভাবে পারছে নিয়ে গেছে। কোন কিছু আর সেখানে বিদ্যামান নেই। যা রয়েছে তাও পুড়ে যাওয়া এবং ভেঙ্গে যাওয়া আসবাবপত্রের কিছু অংশ।

বাড়ীটিকে এক নজর দেখার জন্য ভোলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে আসছে। কারণ তারা বিগত ১৭ বছর এই বাড়ীটিতে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে পারেনি। তাদের মনে একটা আকাঙ্খা ছিল এই বাড়ীতে কি হতো, সেখানে কি রয়েছে তা যদি এক নজর দেখতে পারতাম। তাই তোফায়েল আহমেদ এর বাড়ীতে ভাংচুর ও আগুন দেয়ার খবর শুনে ছোট, বড়, নারী-পুরুষ এমনকি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দল বেধে ছুটে আসছে এক নজর দেখার জন্য। এ সময় তারা বলছেন, তোফায়েল আহমেদ ভোলার মানুষের জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই করেন নি। তিনি করেছেন তার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য। তোফায়েল আহমেদসহ তার আত্মীয়-স্বজন ভোলার মানুষের উপর দীর্ঘ বছর ধরে যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন আজ সেই সব মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়ীটি এখন ধ্বংসস্তুপ

Update Time : ০৬:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী ও রক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাড়ীটি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওই বাড়ীতে ভাংচুর চালায় এবং আগুন দেয়। রাত ১টার দিকে বাসভবনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা উল্লাসে মেতে উঠেন। বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

এগিকে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল যুবক ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে থেকে আওয়ামীলীগ বিরোধী ‘আওয়ামীলীগের আস্তানা এ ভোলাতে রাখবো না’, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’ শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা বাড়ীটির প্রধান গেট ভেঙ্গে প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করে। বাসার সকল আসবাবপত্র রাস্তায় ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া তোফায়েল আহমেদের বাড়ীতে হামলার পাশাপাশি তার বাড়ীর পার্শ্বেই অবস্থিত জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম নকীবের বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। রাতে সাবেক এই সাংসদের বাড়ীতে আগুন দিলে আশপাশের বাসাবাড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে কিংবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতে এবং আজ সকালেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকেই ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে ঘর থেকে বেড় হতে দেখা যায়নি। ঘটনার বিষয়ে ভোলা মডেল থানার ওসি হাসনাইন পারভেজকে গত রাত এবং আজ বৃহস্পতিবার একাধিকবার ফোন করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তোফায়েল আহমেদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো বাড়ীটি একটি ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। আগুন দিয়ে পুরো বাড়িটি ভষ্ম করে দেয়া হয়েছে। যেখানে তাকানো হয়েছে দেখা গেছে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের ধ্বংসযজ্ঞ। বাড়ীটির দেয়ালে দেয়ালে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। বাড়ীটির দ্বিতীয় তলায় এখনও আগুনের লেলিহান শিখা বিদ্যমান রয়েছে। (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। এছাড়া বাড়ীটির মূল্যবান আসবাবপত্র যা ছিল তা রাত থেকে ভোর এবং ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত যে যেভাবে পারছে নিয়ে গেছে। কোন কিছু আর সেখানে বিদ্যামান নেই। যা রয়েছে তাও পুড়ে যাওয়া এবং ভেঙ্গে যাওয়া আসবাবপত্রের কিছু অংশ।

বাড়ীটিকে এক নজর দেখার জন্য ভোলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে আসছে। কারণ তারা বিগত ১৭ বছর এই বাড়ীটিতে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে পারেনি। তাদের মনে একটা আকাঙ্খা ছিল এই বাড়ীতে কি হতো, সেখানে কি রয়েছে তা যদি এক নজর দেখতে পারতাম। তাই তোফায়েল আহমেদ এর বাড়ীতে ভাংচুর ও আগুন দেয়ার খবর শুনে ছোট, বড়, নারী-পুরুষ এমনকি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দল বেধে ছুটে আসছে এক নজর দেখার জন্য। এ সময় তারা বলছেন, তোফায়েল আহমেদ ভোলার মানুষের জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই করেন নি। তিনি করেছেন তার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য। তোফায়েল আহমেদসহ তার আত্মীয়-স্বজন ভোলার মানুষের উপর দীর্ঘ বছর ধরে যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন আজ সেই সব মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।