কুমিল্লার হোমনায় ডেকে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চার জনকে আসামী করে হোমনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। সে উপজেলার এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে উপজেলার বড় ঘারমোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন ছাত্রীটি তার এক বান্ধবীর বাড়িতে ছোট পিকনিক করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে মামুন ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে রাত দশটায় একই গ্রামের
জনৈক মোজাম্মেল হোসেনের বালুর মাঠে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে (১৩)কে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। এর আগে বন্ধু রাসেল (২৩), ইয়াসিন (২১) ও জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরকে (২১) নিয়ে কনু মিয়ার ঘরে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিল্ধসঢ়;।
অভিযোগে আরও জানা যায়, মামুন (১৯) ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল। পরিল্পনা অনুযায়ী ওই দিন তাকে ধর্ষণ করে। আসামীরা হলো- বড়ঘারমোড়া গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে মামুন (১৯), একই গ্রামের মিজান মিয়ার
ছেলে রাসেল (২৩), ওসমান মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (২১) ও জমির আলী ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (২১) ওরফে জহির। এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কা ( ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয় এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত অছে।