Dhaka ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিচারের মুখোমোখি করতে হবে

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের খুজে বেরকরে বিচারের মুখোমোখি করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে, ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আফজাল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় এক আলোচনা সভায় বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি হওয়ায় এলাকার মানুষ জীবন জীবিকার পথ খুজে পেয়েছে। এই কয়লা দিয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উত্তর অঞ্চল সহ সারা দেশের উন্নয়ন কল্পে এই কয়লাখনিটি করেন। এই খনিতে সব মিলে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কমচারী ও চীনা শ্রমিকেরা কাজ করছেন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সব নিয়ম মেনে কয়লা আহরনে তৎকালীন সময়ে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পূর্ন করা হয়। সব নিয়ম মেনেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তীর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। আর প্রতিহিংসার বসভূত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে আওয়ামীলীগ সরকার। বিগত তত্ত্ববাধয়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।

বর্তমানে এই মামলাটি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা করেছেন তাদেরকে খুজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে এখনও আওয়ামী পন্থি কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন। তারই ঐ সময় ইন্দোন যুগিয়েছিল। বর্তমান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অনিয়ম দূর্নীতিতে ভরপুর কয়লা চুরির বিষয়ে যাদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছেন তারা নিজেরা মামলা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম তদবির করছেন। ঐ কয়লা চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। খনির দূর্নীতি বাজেরা এখনও অন্যান্য জায়গায় বড় পদে চাকুরী করছেন।

গত ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়ায় বলিষ্ট ও দক্ষ আইন জীবিদের ধন্যবাদ জানাই।

আলোচনা সভায় ফুলবাড়ী থান প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিচারের মুখোমোখি করতে হবে

Update Time : ০৯:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের খুজে বেরকরে বিচারের মুখোমোখি করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে, ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আফজাল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় এক আলোচনা সভায় বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি হওয়ায় এলাকার মানুষ জীবন জীবিকার পথ খুজে পেয়েছে। এই কয়লা দিয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উত্তর অঞ্চল সহ সারা দেশের উন্নয়ন কল্পে এই কয়লাখনিটি করেন। এই খনিতে সব মিলে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কমচারী ও চীনা শ্রমিকেরা কাজ করছেন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সব নিয়ম মেনে কয়লা আহরনে তৎকালীন সময়ে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পূর্ন করা হয়। সব নিয়ম মেনেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তীর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। আর প্রতিহিংসার বসভূত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে আওয়ামীলীগ সরকার। বিগত তত্ত্ববাধয়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।

বর্তমানে এই মামলাটি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা করেছেন তাদেরকে খুজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে এখনও আওয়ামী পন্থি কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন। তারই ঐ সময় ইন্দোন যুগিয়েছিল। বর্তমান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অনিয়ম দূর্নীতিতে ভরপুর কয়লা চুরির বিষয়ে যাদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছেন তারা নিজেরা মামলা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম তদবির করছেন। ঐ কয়লা চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। খনির দূর্নীতি বাজেরা এখনও অন্যান্য জায়গায় বড় পদে চাকুরী করছেন।

গত ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়ায় বলিষ্ট ও দক্ষ আইন জীবিদের ধন্যবাদ জানাই।

আলোচনা সভায় ফুলবাড়ী থান প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।