সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সরকারী গো-চারণ ভূমিতে ঘাস চাষের পরিবর্তে নিয়ম বহিৃভূত ভাবে শসার চাষ করায় ৪টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে করা শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের আবারও নোটিশ করেছে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।
শোকজ প্রাপ্তরা হলেন, শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, একই এলাকার মধ্যপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি তাহেজ প্রমানিক, সরকারপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ফারুক আহমেদ ও দক্ষিন বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মজিদ আকন্দ।
এ বিষয়ে মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. মো: ছাইফুল ইসলাম বুধবার জানান, কালের কন্ঠ অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার তদন্তে গত ২১ ডিসেম্বর মিল্বভিটার পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যে কারনে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্ধ দেওয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শষা চাষ করায় অভিযুক্ত ৪টি সমিতির সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারী কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারনে ৩ ফেব্রুয়ারী আবারো তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে নোটিশের প্রকৃত জবাব দিতে বার্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটুস লরেন্স চিরান সরজমিন গো-চারণ ভূমির বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রাপ্তির কথা জানিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযুক্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে চাইলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হতে হয়। আমরা সে দিকেই অগ্রসর হচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মিল্কভিটার আওতায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ১০৬৮. ১৪ একর গো-চারণ ভুমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারী ভাবে প্রতি একর জমি ২ হাজার টাকায় বাৎসরিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালন পালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা। অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহিৃভূতভাবে মোটা অংকের টাকায় সাব বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শসা চাষীরা লাভবান হলেও গো-চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গো-খামারীরা।