Dhaka ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুলের মৃত্যু

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি যশোরের চাঞ্চল্যকর মফিজ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম। এনামুল যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মফজেল বেড়ের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ সকালে এনামুল বুকে যন্ত্রনা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বেলা সাড়ে ১১টার সময় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে জানায়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে হামিদপুর গ্রামে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর গ্রামের ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তিতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ২০ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন। এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রপাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম , হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার কাজল ও যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গোপাল ঘোষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

জনগণের সেন্টিমেন্ট বোঝার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান: রফিবুল ইসলাম বকুল

যশোর কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুলের মৃত্যু

Update Time : ১০:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি যশোরের চাঞ্চল্যকর মফিজ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম। এনামুল যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মফজেল বেড়ের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ সকালে এনামুল বুকে যন্ত্রনা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বেলা সাড়ে ১১টার সময় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে জানায়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে হামিদপুর গ্রামে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর গ্রামের ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তিতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ২০ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন। এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রপাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম , হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার কাজল ও যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গোপাল ঘোষ।