সিরাজগঞ্জে পৌর শহরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম-ভালোবাসা অতঃপর প্রেমিকাকে বিয়ে না করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা সেই প্রেমিক উৎসব কুমার কুন্ডু (২২) ও তার বড় ভাই সুশান্ত কুন্ডু শান্ত (৪৮) এর নামে কলেজ ছাত্রী সুপ্রীতি সূত্রধর আত্মহত্যার একদিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় উপস্থিত হয়ে সুপ্রীতি সূত্রধরের বাবা বাবুল কুমার সুত্রধর মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে কলেজ পড়ুয়া তরুণী সুপ্রীতি সূত্রধর সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তার পাড়া সিরাজী রোডে অবস্থিত গোপাল কুন্ডুর বাড়ীতে প্রেমিক উৎসব কুমার কুন্ডু ও তার বড় ভাই সুশান্ত কুন্ডু শান্ত প্ররোচনায় আত্মহত্যা করে। ঘটনার দিন ছাত্র সমন্বয়ক ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরে প্রেমিক উৎসব কুমার কুন্ডুকে পুলিশ আটক করলেও অপর আসামি সুশান্ত কুন্ডু শান্তকে গ্রেফতার না করায় নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সুপ্রীতি সূত্রধরের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠে। শুধু তাই নয় ঘটনা দিন রাতে সিরাজগঞ্জ শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সিরাজগঞ্জ পূজায় উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু অভিযুক্ত ছেলের পক্ষ নিয়ে মেয়ের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করলে স্থানীয় জনতা তাকে এলোপাতাড়ি পিটানি দেয়। এ সময় তিনি নিজেকে রক্ষায় শটকে পড়েন।
অপরদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, সুপ্রীতি সূত্রধরের সাথে একই বিল্ডিং এর নিচ তলার ভাড়াটিয়া দুলাল কুন্ডুর ছেলে, উৎসব কুমার কুন্ডু (২২) এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সময়ে প্রেমিক প্রেমিকা রিকশায় করে ঘুরে বেড়াতো। এক সময় লোক জানাজানি হলে মেয়েটি বিবাহের জন্য ছেলে ও ছেলের অভিবাবকদের বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে তরুণী সুপ্রীতি পুনরায় ছেলে পক্ষের সঙ্গে তার বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় প্রেমিক ও তার পরিবারের প্ররোচনায় সুপ্রীতি সূত্রধর লোকলজ্জার ভয়ে নিজের শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার দিন ছেলে উৎসব কুমার কুন্ডুকে গ্রেফতার করে কোটের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে নিহতের পিতা বাবুল কুমার সুত্রধর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সন্ধ্যার সময় কি ঘটেছিল সেটা তো লিখলেন না