Dhaka ১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রধান ফটকের সামনে এক চায়ের দোকানে দুই শিক্ষার্থীর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ হোসেন সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাত ২টার পর ক্যাম্পাস শান্ত হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রক্টর আমজাদ হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ ঘটনায় আজ শনিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, চায়ের দোকানে কেমিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানী’র সঙ্গে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের স্বপনের ধাক্কা লাগে। স্বপন দুঃখ প্রকাশ করলেও, পরবর্তীতে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এ বিষয়ে সাদেকা শাহানী জানান, চায়ের দোকানে বসার সময় স্বপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, তাদের বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. গালিবের সাময়িক বরখাস্তের ঘটনার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে, সংঘর্ষের পেছনে অধ্যাপক গালিবের বরখাস্তের বিষয়টি ভূমিকা রাখতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২

Update Time : ০৮:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রধান ফটকের সামনে এক চায়ের দোকানে দুই শিক্ষার্থীর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ হোসেন সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাত ২টার পর ক্যাম্পাস শান্ত হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রক্টর আমজাদ হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ ঘটনায় আজ শনিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, চায়ের দোকানে কেমিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানী’র সঙ্গে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের স্বপনের ধাক্কা লাগে। স্বপন দুঃখ প্রকাশ করলেও, পরবর্তীতে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এ বিষয়ে সাদেকা শাহানী জানান, চায়ের দোকানে বসার সময় স্বপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, তাদের বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. গালিবের সাময়িক বরখাস্তের ঘটনার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে, সংঘর্ষের পেছনে অধ্যাপক গালিবের বরখাস্তের বিষয়টি ভূমিকা রাখতে পারে।