Dhaka ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোমনায় ‘ব্যাঙ্গ’ করে ডাকায় বিরোধ, ছুরিকাঘাতে কিশোরকে হত্যা

কুমিল্লার হোমনায় তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধের জেরে ছুড়িকাঘাতে এক কিশোরকে হত্যা এবং আরও এক কিশোর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ‘ব্যাঙ্গ’ করে নাম ধরে ডাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে মো. কাউছার (১৬) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে; এ ঘটনায় কাইয়ুম নামে আরও এক কিশোর আহত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় চান্দেরচর ইউনিয়নের তাতুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটায় শায়খ ও ইমন চান্দেরচর ফার্নিচার দোকানের সামনে দিয়ে চান্দেরচর আলিয়া মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। তখন নাজমুল তার বন্ধু

সাব্বিরকে সাবরী বলে ডাক দেয়। এ সময় শায়খ মনে করে তাকেই ব্যাঙ্গ করে সাবরী বলে ডাক দেয়। এটি নিয়ে কাউসার, কাইয়ূম, নাজমুল ও সাইদুলের সঙ্গে শায়খ এবং ইমনের কাথাকাটাকাটি হয়। গত শুক্রবার চান্দেরচর আলিয়া মাদ্রাসায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

হয়। সেখানে শাহাদত ও ইমনও আসে। এসময় কাউছার, কাইয়ূম, নাজমুল এবং সাইদুলের সঙ্গে ওয়াজের স্থলে দেখা হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবারও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। শাহাদত একপর্যায়ে কাউছারের বুক বরাবর ছুড়ি দিয়ে ঘাই দেয়; এবং ইমনও কাইয়ুমের পেটে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে দুজনেই আহত হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে কাউছারকে

হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে সাইনবোর্ড এলাকায় যাওয়ার পর পথিমধ্যে কাউছারের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় স্বজনরা পুনরায় তাকে হোমনা উপজেলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্খ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, মো. কাউছারের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। ক্ষত বেশি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এবিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম  বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে: আলোচিত দুর্বৃত্ত সবুজসহ তিনজন আটক

হোমনায় ‘ব্যাঙ্গ’ করে ডাকায় বিরোধ, ছুরিকাঘাতে কিশোরকে হত্যা

Update Time : ০৬:১৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লার হোমনায় তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধের জেরে ছুড়িকাঘাতে এক কিশোরকে হত্যা এবং আরও এক কিশোর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ‘ব্যাঙ্গ’ করে নাম ধরে ডাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে মো. কাউছার (১৬) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে; এ ঘটনায় কাইয়ুম নামে আরও এক কিশোর আহত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় চান্দেরচর ইউনিয়নের তাতুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটায় শায়খ ও ইমন চান্দেরচর ফার্নিচার দোকানের সামনে দিয়ে চান্দেরচর আলিয়া মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। তখন নাজমুল তার বন্ধু

সাব্বিরকে সাবরী বলে ডাক দেয়। এ সময় শায়খ মনে করে তাকেই ব্যাঙ্গ করে সাবরী বলে ডাক দেয়। এটি নিয়ে কাউসার, কাইয়ূম, নাজমুল ও সাইদুলের সঙ্গে শায়খ এবং ইমনের কাথাকাটাকাটি হয়। গত শুক্রবার চান্দেরচর আলিয়া মাদ্রাসায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

হয়। সেখানে শাহাদত ও ইমনও আসে। এসময় কাউছার, কাইয়ূম, নাজমুল এবং সাইদুলের সঙ্গে ওয়াজের স্থলে দেখা হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবারও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। শাহাদত একপর্যায়ে কাউছারের বুক বরাবর ছুড়ি দিয়ে ঘাই দেয়; এবং ইমনও কাইয়ুমের পেটে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে দুজনেই আহত হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে কাউছারকে

হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে সাইনবোর্ড এলাকায় যাওয়ার পর পথিমধ্যে কাউছারের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় স্বজনরা পুনরায় তাকে হোমনা উপজেলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্খ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, মো. কাউছারের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। ক্ষত বেশি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এবিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম  বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।