Dhaka ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

oplus_0

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির ফকির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ একাধিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো হলরুমে এ সকল অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা। সংবাদ সম্মেলনে জালাল ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, বহিস্কৃত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির উদ্দিন ফকির  ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাদের অত্যাচারে উপজেলার মানুষ অতিষ্ট।

তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৫ আগষ্টের পর জালাল ফকিরের দুই ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকিরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বাসস্ট্যান্ড দখল, সড়কে চাঁদাবাসীসহ সকল অপকর্মে তারা লিপ্ত। রাহাত ফকিরে বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু জালাল উদ্দিন ফকির তৎকালিন নির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পক্ষে কাজ করেছেন।

এর ফলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে তিনি উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন। তাদের ব্যবহার করে এলাকায় লুটপাট, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী  কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। তাদের এমন কর্মকান্ড বন্ধ না হলে আমতলীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না। দ্রুত বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দলীয় এবং প্রশাসনিক  ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খান বলেন, বহিস্কৃত বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন ফকির দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তার কারনে আমতলী উপজেলা বিএনপির দ্বন্ধ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খাঁন, অ্যাডভোকেট নাশির উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান হিরু মৃধা,  তরিকুল ইসলাম টারজান, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি তারিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, ছাত্রদল আমতলী সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি রাজিব মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সোহেল মোল্লা ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম।

আমতলী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। যারা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ এনেছে তারা হাইব্রীট আওয়ামীলীগ। তারাই এমন কর্মকান্ড করছেন বলে দাবী করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

আমতলীতে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৮:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির ফকির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ একাধিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো হলরুমে এ সকল অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা। সংবাদ সম্মেলনে জালাল ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, বহিস্কৃত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির উদ্দিন ফকির  ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাদের অত্যাচারে উপজেলার মানুষ অতিষ্ট।

তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৫ আগষ্টের পর জালাল ফকিরের দুই ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকিরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বাসস্ট্যান্ড দখল, সড়কে চাঁদাবাসীসহ সকল অপকর্মে তারা লিপ্ত। রাহাত ফকিরে বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু জালাল উদ্দিন ফকির তৎকালিন নির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পক্ষে কাজ করেছেন।

এর ফলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে তিনি উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন। তাদের ব্যবহার করে এলাকায় লুটপাট, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী  কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। তাদের এমন কর্মকান্ড বন্ধ না হলে আমতলীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না। দ্রুত বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দলীয় এবং প্রশাসনিক  ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খান বলেন, বহিস্কৃত বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন ফকির দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তার কারনে আমতলী উপজেলা বিএনপির দ্বন্ধ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খাঁন, অ্যাডভোকেট নাশির উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান হিরু মৃধা,  তরিকুল ইসলাম টারজান, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি তারিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, ছাত্রদল আমতলী সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি রাজিব মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সোহেল মোল্লা ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম।

আমতলী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। যারা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ এনেছে তারা হাইব্রীট আওয়ামীলীগ। তারাই এমন কর্মকান্ড করছেন বলে দাবী করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।