Dhaka ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরপুরে অন্ধ শাশুড়িকে হত্যা করেছে পুত্রবধূ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অন্ধ শাশুড়ি জয়নব বেগম উরফে জয়না (৬৮) কে হত্যা করেছে পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তার বেবি (৪৫)। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নাগরপুর থানার মোকনা ইউনিয়নের গাজুটিয়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার অন্য আসামীরা হলেন স্বামী শওকত আলী (৭০) ও ছেলে মোশাররফ হোসেন মামুন (৪৭)।

ঘটনায় জানা গেছে, বৃদ্ধা জয়নব বেগম উরফে জয়না অন্ধ এবং অসুস্থ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে বোঝা মনে করতো। নিজ পুত্র, পুত্রবধূ এবং স্বামী মিলে কুটবুদ্ধি করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে সেটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে নাগরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। লাশের সুরত হাল শেষে সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির এক পর্যায়ে ঘরের পিছনে একটি পরিত্যক্ত কুয়া থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে পুত্রবধূ, ছেলে ও স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তার বেবি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। বাকি আসামিদের জন্য পুলিশের করা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনে বিজ্ঞ আদালতে দুই দিনের রিমান্ড মনজুর হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নাগরপুরে অন্ধ শাশুড়িকে হত্যা করেছে পুত্রবধূ

Update Time : ০৬:০৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অন্ধ শাশুড়ি জয়নব বেগম উরফে জয়না (৬৮) কে হত্যা করেছে পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তার বেবি (৪৫)। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নাগরপুর থানার মোকনা ইউনিয়নের গাজুটিয়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার অন্য আসামীরা হলেন স্বামী শওকত আলী (৭০) ও ছেলে মোশাররফ হোসেন মামুন (৪৭)।

ঘটনায় জানা গেছে, বৃদ্ধা জয়নব বেগম উরফে জয়না অন্ধ এবং অসুস্থ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে বোঝা মনে করতো। নিজ পুত্র, পুত্রবধূ এবং স্বামী মিলে কুটবুদ্ধি করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে সেটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে নাগরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। লাশের সুরত হাল শেষে সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির এক পর্যায়ে ঘরের পিছনে একটি পরিত্যক্ত কুয়া থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে পুত্রবধূ, ছেলে ও স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তার বেবি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। বাকি আসামিদের জন্য পুলিশের করা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনে বিজ্ঞ আদালতে দুই দিনের রিমান্ড মনজুর হয়।