Dhaka ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ ও সিলেট সীমান্তে প্রায় দেড়কোটি টাকার মালামাল জব্দ

সুনামগঞ্জ ও সিলেট সীমান্তে গত ১২ ঘন্টায় পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার পাচাঁরকৃত বিভিন্ন মালামালসহ ১টি ট্রাক আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু সীমান্ত চোরাচালানের মদতদাতা সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাকারবারীরা বরাবরের মতো রয়েগেছে অধরা। তাই ওদেরকে গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে- গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৭টা পর্যন্ত গত ১২ঘন্টা পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৮ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে থাকা সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের বাংলা বাজার, তামাবিল, প্রতাপপুর, বিছনাকান্দি, সংগ্রাম, কালাইরাগ, দমদমিয়া, কালাসাদেক ও সোনার হাট বিওপির বিজিবি জোয়ানরা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আনা চোরাকারবারীদের ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬শ টাকা মূল্যের কাপড়, ওষুধ, মহিষ, বডি স্প্রে, ক্রিম, চিনি, চকলেট, কমলা,ফুচকা,অলিভ অয়েল ও বিড়িসহ ১টি ট্রাক জব্দ করেছে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৬টা থেকেই সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী ও ১২০৩এর ৩এস পিলার সংলগ্ন সাহিদাবাদ বিজিবি পোষ্টের সামনে দিয়ে ভারতের ৩/৪গজ ভিতর থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৪/৫শ লোক দিয়ে ওপেন লাখলাখ টাকার কয়লা ও পাথর পাচাঁর শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেড। সেই তারা সাথে ২০-৩০টা মাহিন্দ্র গাড়ি বোঝাই করে বিজিবি ক্যাম্পের ২শ গজ সামনে থেকে অবৈধ ভাবে বালি পাচাঁর শুরু করে।

তারা সারাদিনই পাচাঁরকৃত কয়লা ও পাথর ঠেলাগাড়ি ও মোটর সাইকেল দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে পরিবহন করে লাউড়গড় বাজার ও তার চারপাশে ওপেন মজুত করার পর, সন্ধ্যায় চোরাচালান সিন্ডিকেডের ২-৩জন সদস্য বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে। পরে পাচাঁরকৃত কয়লা, পাথর, বালি ও মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য অবৈধ মালামাল ট্রাক বোঝাই করে পাশের মাছিমপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওপেন নিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। আওয়ামী লাগের স্থানীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেড তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কয়লা ও পাথর পাচাঁর বাণিজ্যসহ বালি পাচাঁর করে কোটিপতি হয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টা থেকে চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর ও ১২০৩ পিলার সংলগ্ন বিজিবি পোস্টের সামনে দিয়ে ও কাঠাল বাগান এলাকা দিয়ে পৃথক ভাবে ২-৩শতাধিক লোক দিয়ে ভারত থেকে ওপেন ফুছকা, জিরা, কম্বল, বিড়ি ও মদ পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাকারবারীরা। আর আগে গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাতভর প্রায় কোটি টাকার ফুছকা, জিরা, কম্বল, বিড়ি ও মদ পাচাঁর করে অটোরিক্সা বোঝাই করে শিমুল বাগানে সামনের রাস্তা দিয়ে বাদাঘাট বাজার, বারহাল, কামড়াবন্দ ও শিমুলাতলাসহ লাউড়গড় বাজার ও ঢালারপাড় গ্রামের নিয়ে মজুত করা করে চোরাকারবারীরা।

জানা গেছে- সীমান্তে টহলে আসা বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা বিজিবির নামে প্রতিবস্তা ফুছকা থেকে ১৫০টাকা, পুলিশের নামে ১শ টাকা, প্রতিবস্তা চিনি বিজিবি ও পুলিশ ১শ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল থেকে আলোচনা সাপেক্ষে চাঁদা উত্তোলন করে। এছাড়া প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ৭টা থেকে আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ভোর পর্যন্ত টেকেরঘাট সীমান্তের পুলিশ ফাঁড়ি ও হাইস্কুলের পিছন দিয়েসহ নিলাদ্রী লেকপাড়, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে প্রায় ৩মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড় ও কয়লারঘাটসহ জয় বাংলা বাজার সংলগ্ন একাধিক ডিপুতে ওপেন মজুত করে সোর্সরা। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে ১শ টাকা, পুলিশ ৫০টাকাসহ মোট ২শ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স পরিচয়ধারীরা।

একই ভাবে চাঁদা নিয়ে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে দুধের আউটা, নতুন বাজার, তেলিগাঁও, বানিয়াগাঁও, জামালপুর ও শ্রীপুর এলাকা মজুত করা হচ্ছে জানা গেছে। এছাড়াও চারাগাঁও সীমান্তের জংগলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে শতশত মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের চারপাশে অবস্থিত ১০-১৫টি ডিপুতে ও ৮-১০জন সোর্সদের বাড়িতে মজুত করে ওপেন বিক্রি করছে সোর্স ও চোরাকারবারীরা। এদিকে বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন ও কচুয়াছড়া এলাকাসহ মধ্যনগর সীমান্তের বাংঙ্গালভিটা, মাটিরাবন, বিশ^ম্ভরপুর সীমান্তের চিনাকান্দি, মাছিমপুর, ডলুরাসহ সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গরু, মহিষ, মাছ, চিনি, বিড়ি, মদ ও কসমেটিকস পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু চোরাচালান বন্ধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। অথচ সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান কর্মরত থাকাকালীন সময় তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা ও চুনাপাথর, বিড়ি, ঘোড়া, গরু ও মাদকদ্রব্যসহ অর্ধশতাধিক চোরাকারবারী ও জুয়ারীদের গ্রেফতার করেছেন।

সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান- সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য বিজিবির অভিযান অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মোংলায় বিদেশী জাহাজে চুরির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রসহ পাঁচ জন কে আটক করেছে কোস্টগার্ড

সুনামগঞ্জ ও সিলেট সীমান্তে প্রায় দেড়কোটি টাকার মালামাল জব্দ

Update Time : ০৮:১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জ ও সিলেট সীমান্তে গত ১২ ঘন্টায় পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার পাচাঁরকৃত বিভিন্ন মালামালসহ ১টি ট্রাক আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু সীমান্ত চোরাচালানের মদতদাতা সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাকারবারীরা বরাবরের মতো রয়েগেছে অধরা। তাই ওদেরকে গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে- গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৭টা পর্যন্ত গত ১২ঘন্টা পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৮ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে থাকা সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের বাংলা বাজার, তামাবিল, প্রতাপপুর, বিছনাকান্দি, সংগ্রাম, কালাইরাগ, দমদমিয়া, কালাসাদেক ও সোনার হাট বিওপির বিজিবি জোয়ানরা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আনা চোরাকারবারীদের ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬শ টাকা মূল্যের কাপড়, ওষুধ, মহিষ, বডি স্প্রে, ক্রিম, চিনি, চকলেট, কমলা,ফুচকা,অলিভ অয়েল ও বিড়িসহ ১টি ট্রাক জব্দ করেছে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৬টা থেকেই সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী ও ১২০৩এর ৩এস পিলার সংলগ্ন সাহিদাবাদ বিজিবি পোষ্টের সামনে দিয়ে ভারতের ৩/৪গজ ভিতর থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৪/৫শ লোক দিয়ে ওপেন লাখলাখ টাকার কয়লা ও পাথর পাচাঁর শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেড। সেই তারা সাথে ২০-৩০টা মাহিন্দ্র গাড়ি বোঝাই করে বিজিবি ক্যাম্পের ২শ গজ সামনে থেকে অবৈধ ভাবে বালি পাচাঁর শুরু করে।

তারা সারাদিনই পাচাঁরকৃত কয়লা ও পাথর ঠেলাগাড়ি ও মোটর সাইকেল দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে পরিবহন করে লাউড়গড় বাজার ও তার চারপাশে ওপেন মজুত করার পর, সন্ধ্যায় চোরাচালান সিন্ডিকেডের ২-৩জন সদস্য বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে। পরে পাচাঁরকৃত কয়লা, পাথর, বালি ও মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য অবৈধ মালামাল ট্রাক বোঝাই করে পাশের মাছিমপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওপেন নিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। আওয়ামী লাগের স্থানীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেড তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কয়লা ও পাথর পাচাঁর বাণিজ্যসহ বালি পাচাঁর করে কোটিপতি হয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টা থেকে চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর ও ১২০৩ পিলার সংলগ্ন বিজিবি পোস্টের সামনে দিয়ে ও কাঠাল বাগান এলাকা দিয়ে পৃথক ভাবে ২-৩শতাধিক লোক দিয়ে ভারত থেকে ওপেন ফুছকা, জিরা, কম্বল, বিড়ি ও মদ পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাকারবারীরা। আর আগে গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাতভর প্রায় কোটি টাকার ফুছকা, জিরা, কম্বল, বিড়ি ও মদ পাচাঁর করে অটোরিক্সা বোঝাই করে শিমুল বাগানে সামনের রাস্তা দিয়ে বাদাঘাট বাজার, বারহাল, কামড়াবন্দ ও শিমুলাতলাসহ লাউড়গড় বাজার ও ঢালারপাড় গ্রামের নিয়ে মজুত করা করে চোরাকারবারীরা।

জানা গেছে- সীমান্তে টহলে আসা বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা বিজিবির নামে প্রতিবস্তা ফুছকা থেকে ১৫০টাকা, পুলিশের নামে ১শ টাকা, প্রতিবস্তা চিনি বিজিবি ও পুলিশ ১শ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল থেকে আলোচনা সাপেক্ষে চাঁদা উত্তোলন করে। এছাড়া প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ৭টা থেকে আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ভোর পর্যন্ত টেকেরঘাট সীমান্তের পুলিশ ফাঁড়ি ও হাইস্কুলের পিছন দিয়েসহ নিলাদ্রী লেকপাড়, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে প্রায় ৩মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড় ও কয়লারঘাটসহ জয় বাংলা বাজার সংলগ্ন একাধিক ডিপুতে ওপেন মজুত করে সোর্সরা। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে ১শ টাকা, পুলিশ ৫০টাকাসহ মোট ২শ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স পরিচয়ধারীরা।

একই ভাবে চাঁদা নিয়ে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে দুধের আউটা, নতুন বাজার, তেলিগাঁও, বানিয়াগাঁও, জামালপুর ও শ্রীপুর এলাকা মজুত করা হচ্ছে জানা গেছে। এছাড়াও চারাগাঁও সীমান্তের জংগলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে শতশত মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের চারপাশে অবস্থিত ১০-১৫টি ডিপুতে ও ৮-১০জন সোর্সদের বাড়িতে মজুত করে ওপেন বিক্রি করছে সোর্স ও চোরাকারবারীরা। এদিকে বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন ও কচুয়াছড়া এলাকাসহ মধ্যনগর সীমান্তের বাংঙ্গালভিটা, মাটিরাবন, বিশ^ম্ভরপুর সীমান্তের চিনাকান্দি, মাছিমপুর, ডলুরাসহ সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গরু, মহিষ, মাছ, চিনি, বিড়ি, মদ ও কসমেটিকস পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু চোরাচালান বন্ধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। অথচ সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান কর্মরত থাকাকালীন সময় তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা ও চুনাপাথর, বিড়ি, ঘোড়া, গরু ও মাদকদ্রব্যসহ অর্ধশতাধিক চোরাকারবারী ও জুয়ারীদের গ্রেফতার করেছেন।

সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান- সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য বিজিবির অভিযান অব্যাহত আছে।