Dhaka ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলে থাইল্যান্ডে দেখা হবে ইউনূস-মোদির

থাইল্যান্ডে আগামী ৪ এপ্রিল বস‌বে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ স‌ম্মেলন। অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখা হচ্ছে। জোটটির মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই নেতার বৈঠক এখন নিশ্চিত নয়।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিমস‌টেক কার্যাল‌য়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (‌ডিক‌্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

মহাস‌চিব ইন্দ্র মণি পান্ডে জানান, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। তবে সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পারিক আলোচনা করে ঠিক করবে।

ইন্দ্র মনি পাণ্ডে বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে দেখা হলেও, আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, দুই দেশের আগ্রহের ওপর এই বৈঠক নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কাজ করে না, বরং এই অঞ্চলের বাণিজ্য, যোগাযোগসহ নানান স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন ইন্দ্র মনি পাণ্ডে।

অন্তর্র্বতী সরকার থেকে বিমসটেক সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানান মহাস‌চিব। তি‌নি ব‌লেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সে অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার থেকে বিমসটেকে আমরা যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও আমরা সম্মান করি।

বিমসটেকের মহাসচিব বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর জোট বিমসটেক। চীন বা পাকিস্তান বিরোধিতা এর লক্ষ্য নয়।

আসন্ন সম্মেলনে বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডক্টর ইউনুস। এর আগে থাইল্যান্ড ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করেছিল। বিমসটেকের সদস্য দেশ সাতটি- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

এপ্রিলে থাইল্যান্ডে দেখা হবে ইউনূস-মোদির

Update Time : ০৫:৫৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

থাইল্যান্ডে আগামী ৪ এপ্রিল বস‌বে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ স‌ম্মেলন। অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখা হচ্ছে। জোটটির মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই নেতার বৈঠক এখন নিশ্চিত নয়।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিমস‌টেক কার্যাল‌য়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (‌ডিক‌্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

মহাস‌চিব ইন্দ্র মণি পান্ডে জানান, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। তবে সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পারিক আলোচনা করে ঠিক করবে।

ইন্দ্র মনি পাণ্ডে বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে দেখা হলেও, আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, দুই দেশের আগ্রহের ওপর এই বৈঠক নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কাজ করে না, বরং এই অঞ্চলের বাণিজ্য, যোগাযোগসহ নানান স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন ইন্দ্র মনি পাণ্ডে।

অন্তর্র্বতী সরকার থেকে বিমসটেক সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানান মহাস‌চিব। তি‌নি ব‌লেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সে অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার থেকে বিমসটেকে আমরা যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও আমরা সম্মান করি।

বিমসটেকের মহাসচিব বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর জোট বিমসটেক। চীন বা পাকিস্তান বিরোধিতা এর লক্ষ্য নয়।

আসন্ন সম্মেলনে বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডক্টর ইউনুস। এর আগে থাইল্যান্ড ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করেছিল। বিমসটেকের সদস্য দেশ সাতটি- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।