সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই আগুনে পুড়ে গেছে গাবাদি পশু সহ ১৯ পরিবারের ৫০টি ঘর ও মূল্যবান সব জিনিসপত্র। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ব্রম্মোত্তর গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মৃত ওসমান আলীর ছেলে সেকেন্দার আলীর বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ধান-চাল, নগদ অর্থসহ সব ধরনের মালামাল পুড়ে যায়। যদিও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, তবে ২টি গরু ও ২টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সৈয়দপুর ও তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে দুই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন্দার আলী জানান, তার দুটি সেমিপাকা টিনশেড ঘরসহ মালামাল পুড়ে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার ভাই সাইদুল ইসলামেরও সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। মকছেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়ার পরিবার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে। একইভাবে মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের ও তার সন্তানদের ৫টি শোবার ঘর, ২টি রান্নাঘর, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১টি গরু আগুনে পুড়ে যায়, এতে তাদেরও প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতায় প্রায় ১৯টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কম্বল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরিফ আব্দুল্লাহ জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করি এবং উদ্ধার কাজ করি। তবে জনগনের ভিড়ে সবচেয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি । রাস্তা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নিয়েছেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফইম উদ্দীন জানান, শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।