Dhaka ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহহীন মিজানুরের মাথাগোঁজার ঠাই করে দিল জলঢাকার ইউএনও

oplus_0

নীলফামারীর জলঢাকায় জীবনযুদ্ধে পরাজিত এক অসহায় শারীরিক ও মানুষিকভাবে অসুস্থ মিজানুর রহমান (৪২) কে মাথাগোঁজার ঠাই করে দিয়ে তার চিকিৎসা সহায়তার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মিজানুর রহমানের বাড়ি তিস্তার তীরবর্তী গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বানিয়া পাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার মৃত জহির উদ্দিন ও তাহেরা বেওয়ার ছেলে। মিজানুর রহমান  সে ভারী কাজ করতে পারেন না। তিনটি  বিয়ে করেছিল সংসার করার জন্য। সে সহজ সরল ও শারিরীক দুর্বলতার কারনে  সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছেন । বসবাসের   ঘরটি অনুযোগী  জরাজীর্ণ। বেড়া গুলো ভেঙ্গে গেছে। ঘরের টিন হলেও যেন দিনে সুর্য আর রাতে চাঁদের উঁকি বুঝা যায় খুব সহজে।অতিরিক্ত ছেঁড়া  পলিথিন দিয়ে বৃথা চেষ্টা যেন তার অসহায়ত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে । শীতে কুয়াশা এবং হার কাঁপানো বাতাস ঘরের ফাঁক দিয়ে  ভিতরে প্রবেশ করে খুব সহজে।  সে বর্তমানে রোগে শোকে এখন কোনোআলসার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মিজানুর শারীরিক ও  মানুষিকভাব খুবেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন আর কোনো কাজকর্ম করতে পারে না।

বিধবা বৃদ্ধা মা’কে নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যদিয়ে চলে তার মা ছেলের সংসার। বর্তমানে পরিবারের ভারবহন করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে তার।

সম্প্রতি সন্ধানী ফাউন্ডেশন ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন ও সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। পরে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পূর্নবাসন  অর্থ দিয়ে তাকে ঘর নির্মাণ সহ আসবাবপত্র কিনে দেন উপজেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মিজানুর ও তার মায়ের চিকিৎসা সহায়তার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ সবকিছু পেয়ে মিজানুর রহমানের পরিবারে খুশির শেষ নেই।মিজানুরের বৃদ্ধা মা তাহেরা বেওয়া জানায়,‘আগে প্লাস্টিক দিয়া ঘর বানে আছিনো’।এটা নতুন ঘর স্যার বানে দিছে, মুই দোয়া করিম আল্লাহ ওমার ভাল করুক’।

এবিষয়ে ইউএনও জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এ প্রতিবেদককে  জানায় , একটি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন  ’সন্ধানী’ সংস্থার মাধ্যমে পরিবারটির অসহায়ত্বের  খবর পেয়েছি।  সরেজমিনে দেখে আমরা

তার জন্য দ্রুত সময়ে যেটা না করলে নয়, সেটা করছি। শুধু সরকারেই নয়,  ব্যক্তি উদ্যেগে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে।

গোলমুন্ডা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যার এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটার জন্য আমরা তার প্রতি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি  কৃতজ্ঞ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গৃহহীন মিজানুরের মাথাগোঁজার ঠাই করে দিল জলঢাকার ইউএনও

Update Time : ০৪:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নীলফামারীর জলঢাকায় জীবনযুদ্ধে পরাজিত এক অসহায় শারীরিক ও মানুষিকভাবে অসুস্থ মিজানুর রহমান (৪২) কে মাথাগোঁজার ঠাই করে দিয়ে তার চিকিৎসা সহায়তার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মিজানুর রহমানের বাড়ি তিস্তার তীরবর্তী গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বানিয়া পাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার মৃত জহির উদ্দিন ও তাহেরা বেওয়ার ছেলে। মিজানুর রহমান  সে ভারী কাজ করতে পারেন না। তিনটি  বিয়ে করেছিল সংসার করার জন্য। সে সহজ সরল ও শারিরীক দুর্বলতার কারনে  সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছেন । বসবাসের   ঘরটি অনুযোগী  জরাজীর্ণ। বেড়া গুলো ভেঙ্গে গেছে। ঘরের টিন হলেও যেন দিনে সুর্য আর রাতে চাঁদের উঁকি বুঝা যায় খুব সহজে।অতিরিক্ত ছেঁড়া  পলিথিন দিয়ে বৃথা চেষ্টা যেন তার অসহায়ত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে । শীতে কুয়াশা এবং হার কাঁপানো বাতাস ঘরের ফাঁক দিয়ে  ভিতরে প্রবেশ করে খুব সহজে।  সে বর্তমানে রোগে শোকে এখন কোনোআলসার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মিজানুর শারীরিক ও  মানুষিকভাব খুবেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন আর কোনো কাজকর্ম করতে পারে না।

বিধবা বৃদ্ধা মা’কে নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যদিয়ে চলে তার মা ছেলের সংসার। বর্তমানে পরিবারের ভারবহন করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে তার।

সম্প্রতি সন্ধানী ফাউন্ডেশন ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন ও সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। পরে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পূর্নবাসন  অর্থ দিয়ে তাকে ঘর নির্মাণ সহ আসবাবপত্র কিনে দেন উপজেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মিজানুর ও তার মায়ের চিকিৎসা সহায়তার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ সবকিছু পেয়ে মিজানুর রহমানের পরিবারে খুশির শেষ নেই।মিজানুরের বৃদ্ধা মা তাহেরা বেওয়া জানায়,‘আগে প্লাস্টিক দিয়া ঘর বানে আছিনো’।এটা নতুন ঘর স্যার বানে দিছে, মুই দোয়া করিম আল্লাহ ওমার ভাল করুক’।

এবিষয়ে ইউএনও জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এ প্রতিবেদককে  জানায় , একটি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন  ’সন্ধানী’ সংস্থার মাধ্যমে পরিবারটির অসহায়ত্বের  খবর পেয়েছি।  সরেজমিনে দেখে আমরা

তার জন্য দ্রুত সময়ে যেটা না করলে নয়, সেটা করছি। শুধু সরকারেই নয়,  ব্যক্তি উদ্যেগে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে।

গোলমুন্ডা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যার এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটার জন্য আমরা তার প্রতি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি  কৃতজ্ঞ।