Dhaka ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে হুমকি দিয়েছেন, আগামী শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি আর কার্যকর থাকবে না বলে। একইসঙ্গে হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে গাজাবাসীদের সরানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জর্ডানের বাদশাহ।

গাজা ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তির নড়বড়ে অবস্থা নিয়ে শঙ্কায় পুরো বিশ্ব। সম্প্রতি জিম্মিমুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্ত্যব্যের পর আগুনে ঘি ধালছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জানান, শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতির ঘটবে ইতি।

হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলছেন নেতানিয়াহু বলেন, শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি আর কার্যকর থাকবে না।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হামাসকে নির্মূল করা হবে। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে গাজা উপত্যকায় আশপাশে সেনাদের অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছি। খুব দ্রুতই সেনারা গাজা উপত্যকায় আবার অভিযান শুরু করবে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও অনান্য বিষয় আলোচনা হলেও মেইন ইস্যু গাজাবাসী। সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর বিষয়ে ট্রাম্পের চাপের মুখেও নিজ অবস্থান ধরে রাখেন জর্ডানের বাদশাহ।

ট্রাম্পকে সাফ জানান, ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই গাজা পুনর্গঠন করা হবে। মিশর এবং আরব দেশগুলো গাজাবাসীদের নিয়ে পরিকল্পনা আছে। মোহাম্মদ বিন সালমান আমাদের রিয়াদে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মূল কথা হল, কীভাবে এই কাজটি এমনভাবে করা যায় যা সকলের জন্য মঙ্গলজনক।

গণমাধ্যমের সামনে খুব বেশি কথা বলেননি বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তবে সংবাদ সম্মেলনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখান করেন তিনি।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গাজাবাসীদের সরানো পক্ষে থাকলেও এর বিরোধিতা করছে পুরো আরব বিশ্ব। জর্ডানের বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকের পর গাজাবাসীদের সরানো নিয়ে ট্রাম্পের মাথায় পড়েছে দুশ্চিন্তার ছাপ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

Update Time : ০২:১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে হুমকি দিয়েছেন, আগামী শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি আর কার্যকর থাকবে না বলে। একইসঙ্গে হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে গাজাবাসীদের সরানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জর্ডানের বাদশাহ।

গাজা ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তির নড়বড়ে অবস্থা নিয়ে শঙ্কায় পুরো বিশ্ব। সম্প্রতি জিম্মিমুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্ত্যব্যের পর আগুনে ঘি ধালছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জানান, শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতির ঘটবে ইতি।

হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলছেন নেতানিয়াহু বলেন, শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি আর কার্যকর থাকবে না।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হামাসকে নির্মূল করা হবে। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে গাজা উপত্যকায় আশপাশে সেনাদের অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছি। খুব দ্রুতই সেনারা গাজা উপত্যকায় আবার অভিযান শুরু করবে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও অনান্য বিষয় আলোচনা হলেও মেইন ইস্যু গাজাবাসী। সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর বিষয়ে ট্রাম্পের চাপের মুখেও নিজ অবস্থান ধরে রাখেন জর্ডানের বাদশাহ।

ট্রাম্পকে সাফ জানান, ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই গাজা পুনর্গঠন করা হবে। মিশর এবং আরব দেশগুলো গাজাবাসীদের নিয়ে পরিকল্পনা আছে। মোহাম্মদ বিন সালমান আমাদের রিয়াদে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মূল কথা হল, কীভাবে এই কাজটি এমনভাবে করা যায় যা সকলের জন্য মঙ্গলজনক।

গণমাধ্যমের সামনে খুব বেশি কথা বলেননি বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তবে সংবাদ সম্মেলনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখান করেন তিনি।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গাজাবাসীদের সরানো পক্ষে থাকলেও এর বিরোধিতা করছে পুরো আরব বিশ্ব। জর্ডানের বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকের পর গাজাবাসীদের সরানো নিয়ে ট্রাম্পের মাথায় পড়েছে দুশ্চিন্তার ছাপ।