১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বুধবার) সকালে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর আয়োজনে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিনদিন ব্যাপী (১২ ফেব্রুয়ারি-১৪ ফেব্রয়ারি ) ‘১৬তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, এবং ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার, জাতীয় রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিদেশী ডেলিগেটবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি বৃন্দ ফিতা কেটে ‘১৬তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
এবারের আয়োজনে আমেরিকা, চীন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, মালেয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ইতালি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মোট ৩২টি দেশের ৮০০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। এই আয়োজনে রয়েছে ফার্মা প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং, বায়োটেক ল্যাব ইকুইপমেন্ট, এপিআই ম্যানুফেকচারিং প্লান্টস এবং মেশিনারিজ, ফার্মা ফর্মুলেশন্স এবং কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিং। এতে করে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা ঔষধ শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাপাতি ও যন্ত্রাংশ এবং কাঁচামাল সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দেশের ওষুধ শিল্পের গত ২৩ বছরের নানা আবিষ্কার এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো মেলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । বর্তমানে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশী ওষুধ শিল্পকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১৫০টিরও বেশি দেশে বার্ষিক ওষুধ রপ্তানি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারেরও অধিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ ঔষধ আমদানী করে। কিন্তু আমাদেও সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা যদি সেই সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের ঔষথ রপ্তানি আরও বাড়াতে পারি তাহলে সেটা দেশের জন্য বড় ধরনের বেনিফিট হবে।
তিনদিনব্যাপী ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে। উল্লেখ্য, এখন বাংলাদেশে বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদিত হচ্ছে এবং দেশের মোট অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮% পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সাথে বর্তমানে বিশ্বের ১৫৭ টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।