Dhaka ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেলের বরাদ্দ না থাকায় তানোর হাসপাতালের এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ! ক্ষুব্ধ রোগী স্বজনরা

????????????

তেলের বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে রাজশাহীর  তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়েছেন  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার এই নোটিশ জারি করে হাতপাতালের বিভিন্ন দেয়ালে  টাংগিয়ে এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে করে  রোগীর স্বজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপর দিকে  দ্বিগুনেরও বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে শহরগামী রোগী ও স্বজনদের।

স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স চালক আব্দুস সালাম বলেন, এম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না আসার কারনে  সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাম্পে এম্বুলেন্সের তেলের বাকি রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। পাম্প কর্তৃপক্ষ আর বাকি দিতে রাজি না হওয়ায় এম্বুলেন্স চলাচল সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ বার রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছে দেয়া হয়।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এর জন্য রোগীদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা নেয়া হত, আবার নানা কৌশলে বাড়তি টাকাও আদায়ের অভিযোগ রয়েছে । প্রাইভেট মাইক্রোতে রোগী পৌছাতে ১ হাজার ৪শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হয় স্বজনদের। তাও আবার সময়মত প্রাইভেট এসব মাইক্রো ঠিকমত পাওয়া যায় না। এম্বুলেন্স থাকায় রোগী নিয়ে যেমন দ্রুত যাওয়া যায় এবং সময়মত পাওয়া যায় একই সাথে ভাড়াও কম লাগে।

কিন্তু এম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্ধ না আসায় এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করায় চরম বিপাকে পড়ার পাশাপাশি দ্বিগুনেরও বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন নোটিশ দেখে অনেকই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন জরুরী সার্ভিস এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ ঘোষনা মেনে নেয়া যায়না। দ্রুত তেলের বরাদ্ধ দিয়ে এম্বুলেন্স চালুর দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজন ও সেবা গ্রহীতারা।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অফিসার ডাক্তার বার্নাবাস  হাসদাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তেলের বরাদ্ধ না আসায় এম্বুলেন্স সার্ভিস সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তেলের বাজেট বরাদ্দ আসলে আবারো এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে।  এম্বুলেন্সের ভাড়ার টাকা কিভাবে খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা রাজস্ব খাতে চলে যায়, সরকার তেলের বরাদ্দ না দিলে কোনভাবেই এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা যাবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার

তেলের বরাদ্দ না থাকায় তানোর হাসপাতালের এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ! ক্ষুব্ধ রোগী স্বজনরা

Update Time : ০৭:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তেলের বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে রাজশাহীর  তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়েছেন  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার এই নোটিশ জারি করে হাতপাতালের বিভিন্ন দেয়ালে  টাংগিয়ে এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে করে  রোগীর স্বজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপর দিকে  দ্বিগুনেরও বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে শহরগামী রোগী ও স্বজনদের।

স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স চালক আব্দুস সালাম বলেন, এম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না আসার কারনে  সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাম্পে এম্বুলেন্সের তেলের বাকি রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। পাম্প কর্তৃপক্ষ আর বাকি দিতে রাজি না হওয়ায় এম্বুলেন্স চলাচল সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ বার রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছে দেয়া হয়।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এর জন্য রোগীদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা নেয়া হত, আবার নানা কৌশলে বাড়তি টাকাও আদায়ের অভিযোগ রয়েছে । প্রাইভেট মাইক্রোতে রোগী পৌছাতে ১ হাজার ৪শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হয় স্বজনদের। তাও আবার সময়মত প্রাইভেট এসব মাইক্রো ঠিকমত পাওয়া যায় না। এম্বুলেন্স থাকায় রোগী নিয়ে যেমন দ্রুত যাওয়া যায় এবং সময়মত পাওয়া যায় একই সাথে ভাড়াও কম লাগে।

কিন্তু এম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্ধ না আসায় এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষনা করায় চরম বিপাকে পড়ার পাশাপাশি দ্বিগুনেরও বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন নোটিশ দেখে অনেকই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন জরুরী সার্ভিস এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ ঘোষনা মেনে নেয়া যায়না। দ্রুত তেলের বরাদ্ধ দিয়ে এম্বুলেন্স চালুর দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজন ও সেবা গ্রহীতারা।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অফিসার ডাক্তার বার্নাবাস  হাসদাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তেলের বরাদ্ধ না আসায় এম্বুলেন্স সার্ভিস সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তেলের বাজেট বরাদ্দ আসলে আবারো এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে।  এম্বুলেন্সের ভাড়ার টাকা কিভাবে খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা রাজস্ব খাতে চলে যায়, সরকার তেলের বরাদ্দ না দিলে কোনভাবেই এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা যাবে না।