Dhaka ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে ডেভিল হান্ট অভিযানে গত তিন দিনে ৪৬ আটক

banglanews24.com

যশোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী “ডেভিল হান্ট” এর বিশেষ অভিযানে তিন দিনে মোট ৪৬ জনকে আটক করেছে। নাশকতা, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়।গত সোমবারের প্রথম দিনে অভিযানে কোতোয়ালি, অভয়নগর, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা থেকে ১৬ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুরের ফেরদৌস আলম, যশোরের উপশহর ডি-ব্লকের মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের তুষার , লেবুতলার জাহাদায় ও মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান।

এছাড়া চৌগাছার আসামিরা হলেন, কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমান ও পাশাপোল পশ্চিমপাড়ার আমিরুল ইসলাম। অভয়নগরের আসামিরা হলেন, লক্ষীপুর গ্রামের মফিজুর রহমান ও গুয়াখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম, ঝিকরগাছার পুরন্দপুর গ্রামের রায়হান হোসেন ও আয়নাল হোসেন।

তাদেরকে পৃথক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে সোপর্দের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, এদের মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী সহিংসতার মামলার আসামিরাও রয়েছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে আরও ১৬ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার আটককৃতরা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হলেন, শার্শার ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাইদুর রহমান, যশোর সদর উপজেলার ইছালী মথুরাপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ঝিকরগাছার বালিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, আদম শফউল্লাহ ও বারাকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার একজন, ঝিকরগাছার তিনজন, বাঘারপাড়ার একজন ও শার্শার একজন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বুধবার, তৃতীয় দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আরও ১৪ জনকে আটক করা হয়। যশোর সদর, মণিরামপুর, অভয়নগর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবারে আটককৃতরা হলেন, যশোর সদরের চুড়িপট্টি এলাকার পুলক রায়, মণিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, নেহালপুর গ্রামের আলমগির হোসেন, মোনহরপুর গ্রামের আবদুল্লা আল-মামুন, অভয়নগর উপজেলার বনগ্রামের দীপংকর ভদ্র, ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া মোড়লপাড়া গ্রামের মোস্তফা হাদিউজ্জামান নয়ন, শ্রীরামপুর গ্রামের রিপন হোসেন, শার্শা উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের খোরশেদ আলম,  রেজাউল ইসলাম, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াসিম, মশিয়ার রহমান, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের রিপন আলী ও মানকিয়া গ্রামের লিটন মল্লিক।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নূর-ই-আলম সিদ্দিকি জানান, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে শুধুমাত্র নাশকতা কিংবা বিস্ফোরক মামলার আসামিরাই নয়, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদেরও আটক করা হচ্ছে। তিন দিনের অভিযানে মোট ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে, এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

যশোরে ডেভিল হান্ট অভিযানে গত তিন দিনে ৪৬ আটক

Update Time : ০৭:৩৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী “ডেভিল হান্ট” এর বিশেষ অভিযানে তিন দিনে মোট ৪৬ জনকে আটক করেছে। নাশকতা, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়।গত সোমবারের প্রথম দিনে অভিযানে কোতোয়ালি, অভয়নগর, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা থেকে ১৬ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুরের ফেরদৌস আলম, যশোরের উপশহর ডি-ব্লকের মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের তুষার , লেবুতলার জাহাদায় ও মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান।

এছাড়া চৌগাছার আসামিরা হলেন, কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমান ও পাশাপোল পশ্চিমপাড়ার আমিরুল ইসলাম। অভয়নগরের আসামিরা হলেন, লক্ষীপুর গ্রামের মফিজুর রহমান ও গুয়াখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম, ঝিকরগাছার পুরন্দপুর গ্রামের রায়হান হোসেন ও আয়নাল হোসেন।

তাদেরকে পৃথক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে সোপর্দের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, এদের মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী সহিংসতার মামলার আসামিরাও রয়েছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে আরও ১৬ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার আটককৃতরা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হলেন, শার্শার ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাইদুর রহমান, যশোর সদর উপজেলার ইছালী মথুরাপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ঝিকরগাছার বালিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, আদম শফউল্লাহ ও বারাকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার একজন, ঝিকরগাছার তিনজন, বাঘারপাড়ার একজন ও শার্শার একজন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বুধবার, তৃতীয় দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আরও ১৪ জনকে আটক করা হয়। যশোর সদর, মণিরামপুর, অভয়নগর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবারে আটককৃতরা হলেন, যশোর সদরের চুড়িপট্টি এলাকার পুলক রায়, মণিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, নেহালপুর গ্রামের আলমগির হোসেন, মোনহরপুর গ্রামের আবদুল্লা আল-মামুন, অভয়নগর উপজেলার বনগ্রামের দীপংকর ভদ্র, ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া মোড়লপাড়া গ্রামের মোস্তফা হাদিউজ্জামান নয়ন, শ্রীরামপুর গ্রামের রিপন হোসেন, শার্শা উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের খোরশেদ আলম,  রেজাউল ইসলাম, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াসিম, মশিয়ার রহমান, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের রিপন আলী ও মানকিয়া গ্রামের লিটন মল্লিক।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নূর-ই-আলম সিদ্দিকি জানান, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে শুধুমাত্র নাশকতা কিংবা বিস্ফোরক মামলার আসামিরাই নয়, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদেরও আটক করা হচ্ছে। তিন দিনের অভিযানে মোট ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে, এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।