জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের আর ফিরে আসার সুযোগ নাই। কারণ, নির্বাচন নয় গণহত্যার দ্বায়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এখন আমাদেরকে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে।
আর যাতে এই কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ না আসতে পারে, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত সাংগঠনিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতুর সভাপতিত্বে ও সংগঠক সাদ আল সাইফির সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির, জাতীয় নাগরিক কমিটি শরীয়তপুরের সদর উপজেলার
সদস্য সবুজ তালুকদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন শোভন, জাতীয় নাগরিক কমিটি শরীয়তপুরের সদর উপজেলার সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনা কিভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যত গণহত্যা হয়েছে, তাঁর নির্দেশেই হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, সব তাঁর নির্দেশেই হয়েছে। এখন ফ্যাসিবাদের দোসরদের শাস্তির আওতায় আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখন অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। ডেভিলদের ধরিয়ে দিতে হবে। তবে কোনো নিরিহ মানুষ যেনো, এতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পাশাপাশি জনগণের জন্য কাজ করতে হতে হবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।