সৈয়দপুর পৌরসভার ৫ মন্দিরের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হীরালাল ঠাকুরবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দিরে সুখরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দুপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি রতন সরকার, মনোজ গোস্বামী, যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখা।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র রায়, জগলাল দাস, তারক বন্ধু ব্রহ্মা, রতন কুমার আগরওয়াল, প্রতিমা রানী রায়, বিকাশ পোদ্দার, সমর বিশ্বাস, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ, কিশোর প্রসাদ, মানস কুমার দাস, বাদল বিশ্বাস প্রমুখ।
সকলের সম্মতিক্রমে প্রতিটি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ১(এক) মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিকেন্দ্রজিৎ রায় মিরু, যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখা।
শহরের খড়খড়িয়া নদী সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শিব মন্দিরে রাজকুমার পোদ্দার রাজুকে সভাপতি ও সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কিকে সাধারন সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। গোপাল জিউর মন্দিরে এ্যাডভোকেট তুষার কান্তিকে সভাপতি ও রতন কুমার আগরয়ালকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নয়াটোলা শিব মন্দিরে টিকেন্দ্রজিৎ রায়কে সভাপতি ও রঞ্জিত ঠাকুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। বুড়ি মার থান মন্দিরে রাজকুমার পোদ্দার রাজুকে সভাপতি ও অরুন কুমার দাসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সিনেমা হল বিষ্ণু মন্দিরে রতন সরকারকে সভাপতি ও মনোজ গোস্বামীকে সাধারন সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। হীরালাল ঠাকুরবাড়ি কেন্দ্রীয় মন্দিরে রাজকুমার পোদ্দার রাজুকে সভাপতি ও সুমিত কুমার আগরয়াল নিক্কিকে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সুমিত কুমার আগরয়াল বলেন, আওয়ামী সরকার শাসনামলে ১৬ টা বছর শহরের হিন্দু ভাই বোনদের হুমকি ধমকি দিয়ে বুলবুল নামের এক ঠিকাদার শিব মন্দিরে একটি পকেট কমিটি গঠন করেছিল। ওই সময় রঞ্জন কুমার ও, নিজু কুমার আগরয়াল জাল দলিল করে রাবেয়া ফ্লাওয়ার মিল এলাকার শিব মন্দিরের গাছ বিক্রি করে দেয়, একই সাথে জাল দলিল করে দুর্গামিল এলাকায় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
। একই সাথে উল্লেখিত ব্যাক্তি সহ রন্জন কুমার নামের এক হিন্দু আওয়ামী নেতা ৪ আগষ্ট সৈয়দপুর বিএনপি কার্যলয় ভাংচুর করে। ৫ আগষ্টের পর ক’জন আওয়ামী নেতা গা ঢাকা দিলেও উল্লেখিত আওয়ামী সরকারের দোষররা এখনো বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে। এদের আইনের আওতায় না নিলে আবারো বড় ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে। অতিসত্বর তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মন্দিরের উন্নয়নের স্বার্থে সর্বস্তরের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে শহরের ৫ মন্দিরের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে সকল হিন্দু ভাই বোনদের এক প্লাটফর্মে এনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।