কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার বাম তীরে হাজারো মানুষের শ্লোগানে মূখরিত তিস্তার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল। ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নারী, পুরুষ, শিশু, আবাল বৃদ্ধরা আজ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পাকার মাথায় সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে। দুপুর গড়াতেইতিস্তার বাম তীর কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশস্থলে চলে মুহু মুহু শ্লোগান, কবিতা আবৃতি, গান, কৌতুক, বক্তৃতাসহ নানান পরিবেশনা।পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে২ দিনব্যাপী লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দিনের কর্মসূচি চলছে।বিকাল সাড়ে ৪ টায় লালমনিরহাটের স্পট থেকে ৪৮ ঘন্টার লাগাতার অবস্থান কর্মসুচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, বিএনপি‘র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় ভার্চুয়ালি আরো বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, তিস্তা নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি‘র সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
আজ উলিপুরের থেতরাই স্পটে তিস্তার পাড়েই রাত্রি যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ। সন্ধ্যার আয়োজনে থাকছে বিস্তৃর্ণ তীরজুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন।তিস্তা নদী বাঁচাও আন্দোলনের উলিপুর উপজেলা সমন্বয়ক মো, হায়দার আলী মিয়া তার বক্তব্যে জানান, লাগাতার ৪৮ ঘন্টার অবস্থানকালে আমরা ২৫ হাজার মানুষের জন্য ৩ বেলা খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করেছি। আগামীকাল বিকাল ৩ টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি‘র সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উলিপুরের এ স্পটে এসে বক্তব্য রাখবেন। অবস্থান কর্মসূচির স্থলে দিনভর বক্তব্য রাখেন, আব্দুর রশিদ মেলেটারি, নুরমোহাম্মদ, আপন আলমগীর, ওবায়দুর রহমান বুলবুল, আইয়ুব আলীসহ তিস্তা পাড়ের গণ মানুষ। রাত ৮ টার পর থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত অবস্থানস্থলে পরিবেশিত হবে, তিস্তার সূখ-দুঃখের কাহিনী নিয়ে পালাগান, জারি গান, নাটকসহ নানান সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।ুু
অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, ভারত তিস্তার উজানে বাঁধ নির্মান করে তিস্তাকে আজ শীর্ণ ও মরা নদীতে পরিনত করেছে।ফলে তিস্তা বর্তমানে এ অঞ্চলের গণমানুষের মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে।ভারত বর্ষায় বাঁধ থেকে বিনা নোটিশে পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তার দুই কূল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি মুহুর্তেই নিশ্চিহ্ন করে জনজীবনকে বিপন্ন করে ফেলে। অন্যদিকে, খরা মৌসুমে পানি শুন্য হয়ে নদীর দুই ধারের হাজারো জমির ফসলহানি ঘটে। তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী সত্ত্বেও আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। তাই অধিকার আদায়ে এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই আমাদের এ আয়োজন।