তিস্তার পানির অভাবে এ অঞ্চলে ১৫ লক্ষ টন চাল কম উৎপাদন হচ্ছে নদী হচ্ছে বাংলাদেশের প্রান শক্তি, নদী ব্যতিত কোন সভ্যতা গড়ে উঠেনা। প্রত্যেক সভ্যতার পিছনে নদী জড়িত, নদীকে নিয়ে মানুষের জীবন যাপন, নদীকে ঘিরে মানুষের অর্থনীতি জড়িত।
তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে বিকাল ৪ টায় উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার তীরে অবস্থানরত হাজারো মানুষের মাঝে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মস্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন আমাকে মনে করিয়ে দেয় দেশ নেত্রীর কথা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও।
আজকে আমাদের তিস্তার পানি কেন নাই ? ভারত উজানে বাঁধ দিয়ে আমাদেরকে নি:স্ব করে ফেলেছে। তিস্তার সাথে জড়িত সকল জনগণের দাবি আজ জাতীয় দাবিতে পরিনত হয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষ আজ জেগেছে, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, তিস্তার পানি আমরা আদায় করেই ছাড়বো।
তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি উলিপুরের সমন্বয়ক মো. হায়দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে এর আগে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, হাসিবুর রহমান হাসিব, শফিকুল ইসলাম বেবু, সোহেল হোসাইন কায়কোবাদসহ উলিপুর উপজেলা বিএনপির আব্দুর রশিদ সরকার, ওবায়দুর রহমান বুলবুল, এস,এম হাবিব নয়ন, নুরমোহাম্মদ, তৌফিকুর রহমান লাভলু, শামিউল ইসলাম শামিম। সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন, আপন আলমগীর। এর আগে দ্বিতীয় দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল তিস্তার তীর হতে থেতরাই বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা, হাটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ, তিস্তার কড়াল গ্রাসে নি:স্ব মানুষদের বক্তব্য।