Dhaka ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সফলভাবে শেষ হল আইন পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড মেডিয়েশন ট্রেনিং’

  • ডেক্স নিউজ:
  • Update Time : ০৫:১৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭১ Time View

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় অ্যাক্সেস টু জাস্টিস প্রকল্পের (এটুজে প্রজেক্ট – ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিসেস ফর এনহান্সমেন্ট অব অ্যাক্সেস টু জাস্টিস প্রজেক্ট’) আওতায় আইন পেশাজীবীদের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি (মেডিয়েশন) প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট – জেএটিআই) অংশীদারিত্বে এ প্রশিক্ষণ জেএটিআই-তে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত এমন বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীর মতো আইন পেশাজীবীদের জন্য ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক শিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে কার্যকর বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগিতায় গত বছরের এপ্রিলে এটুজে প্রকল্প চালু করে জাইকা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, গত বছরের নভেম্বরে জেএটিআই-তে আইন পেশাজীবীদের জন্য একটি প্রাথমিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রশিক্ষণ সফলভাবে পরিচালিত হয়।

সম্প্রতি, প্রকল্পটি আইন পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড মেডিয়েশন ট্রেনিং’য়ের আয়োজন করে, যা বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীদের আরও দক্ষ করে তুলতে এবং বাংলাদেশের নাগরিক সমাজে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে এবং বাস্তবমুখী ও উপযোগী উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি কৌশল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে এই উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

জাপানের বিশ্বখ্যাত বিরোধ নিষ্পত্তি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মিয়াতাকে মাসাকো প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে আলোচিত বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে এই সেশনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য মেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত জ্ঞান ও কৌশল শেখানো হয়; ছদ্ম-বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বক্তব্য ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়া আরও গভীর করা হয়। প্রকল্পের পাইলট জেলা হিসেবে নরসিংদী ও কুমিল্লা থেকে বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার, আইনজীবী ও প্রযোজ্য বিচারিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সহ ৫০ জন অংশগ্রহণকারী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করার পর অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রফেসর মিয়াতাকে মাসাকো। এই সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।

জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে এ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে জাইকার দৃঢ় অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন; এবং ২০১৬ সাল থেকে বিচারিক মামলার জট কমানোর ক্ষেত্রে জাইকার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, তিনি বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীদের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি (মেডিয়েশন) প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার পাশাপাশি, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অংশগ্রহণকারীরা বিচার প্রাপ্তির সুযোগ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের জ্ঞান ভাগাভাগি করে নিবেন। তিনি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন; এবং বাংলাদেশকে এ প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে জাইকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নতি করার পরও, চলমান মামলা জটের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। একইসাথে, তিনি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো তুলে ধরেন। বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তুলতে তিনি উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে তিনি জাইকা ও তাদের অংশীদারদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

আশা করা যাচ্ছে, এটুজে প্রকল্পের সফল এ প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশল অংশগ্রহণকারীরা বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবী হিসেবে নিজ নিজ পেশাগত ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন; এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সবমিলিয়ে, যা সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, আশা করা যাচ্ছে, অংশগ্রহণকারীরা এ প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা অন্যান্য আইন পেশাজীবীদের সাথে ভাগাভাগি করে নিবেন। বাংলাদেশে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে প্রকল্পটি আগামীতেও কার্যক্রম চালু রাখবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

সফলভাবে শেষ হল আইন পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড মেডিয়েশন ট্রেনিং’

Update Time : ০৫:১৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় অ্যাক্সেস টু জাস্টিস প্রকল্পের (এটুজে প্রজেক্ট – ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিসেস ফর এনহান্সমেন্ট অব অ্যাক্সেস টু জাস্টিস প্রজেক্ট’) আওতায় আইন পেশাজীবীদের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি (মেডিয়েশন) প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট – জেএটিআই) অংশীদারিত্বে এ প্রশিক্ষণ জেএটিআই-তে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত এমন বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীর মতো আইন পেশাজীবীদের জন্য ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক শিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে কার্যকর বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগিতায় গত বছরের এপ্রিলে এটুজে প্রকল্প চালু করে জাইকা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, গত বছরের নভেম্বরে জেএটিআই-তে আইন পেশাজীবীদের জন্য একটি প্রাথমিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রশিক্ষণ সফলভাবে পরিচালিত হয়।

সম্প্রতি, প্রকল্পটি আইন পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড মেডিয়েশন ট্রেনিং’য়ের আয়োজন করে, যা বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীদের আরও দক্ষ করে তুলতে এবং বাংলাদেশের নাগরিক সমাজে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে এবং বাস্তবমুখী ও উপযোগী উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি কৌশল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে এই উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

জাপানের বিশ্বখ্যাত বিরোধ নিষ্পত্তি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মিয়াতাকে মাসাকো প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে আলোচিত বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে এই সেশনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য মেডিয়েটর হিসেবে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত জ্ঞান ও কৌশল শেখানো হয়; ছদ্ম-বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বক্তব্য ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়া আরও গভীর করা হয়। প্রকল্পের পাইলট জেলা হিসেবে নরসিংদী ও কুমিল্লা থেকে বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার, আইনজীবী ও প্রযোজ্য বিচারিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সহ ৫০ জন অংশগ্রহণকারী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করার পর অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রফেসর মিয়াতাকে মাসাকো। এই সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।

জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে এ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে জাইকার দৃঢ় অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন; এবং ২০১৬ সাল থেকে বিচারিক মামলার জট কমানোর ক্ষেত্রে জাইকার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, তিনি বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবীদের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি (মেডিয়েশন) প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার পাশাপাশি, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অংশগ্রহণকারীরা বিচার প্রাপ্তির সুযোগ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের জ্ঞান ভাগাভাগি করে নিবেন। তিনি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন; এবং বাংলাদেশকে এ প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে জাইকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নতি করার পরও, চলমান মামলা জটের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। একইসাথে, তিনি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো তুলে ধরেন। বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তুলতে তিনি উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে তিনি জাইকা ও তাদের অংশীদারদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

আশা করা যাচ্ছে, এটুজে প্রকল্পের সফল এ প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশল অংশগ্রহণকারীরা বিচারক, লিগ্যাল এইড অফিসার ও আইনজীবী হিসেবে নিজ নিজ পেশাগত ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন; এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সবমিলিয়ে, যা সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, আশা করা যাচ্ছে, অংশগ্রহণকারীরা এ প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা অন্যান্য আইন পেশাজীবীদের সাথে ভাগাভাগি করে নিবেন। বাংলাদেশে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে প্রকল্পটি আগামীতেও কার্যক্রম চালু রাখবে।