বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাত্রলীগের মতো নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের জমিনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।তিনি বলেন, পতিত লেডি হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে দুটি কাজ করেছে- একটি বিভাজনের রাজনীতি, অন্যটি প্রতিশোধের অপরাজনীতি। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত। পিতৃ ও মাতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বাংলাদেশে কাফন পরিয়েছে। এখন হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে দাদার দেশ ভারতে।
খেলাফত মজলিশের আমীর বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা তার পোষা হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনী ও অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী দিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অগ্রনায়ক বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করতে হাসিনা ও তাঁর স্বজনরা ব্যাংক লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।গত মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খেলাফত মজলিশ কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক একথা বলেন।তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধান মুছে ফেলতে হবে। কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন সংবিধানে সংযোজন করা যাবে না।
ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এই গণসমাবেশের ডাক দেয়।খেলাফত মজলিশ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর আল্লামা আলী ওসমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা আতা উল্লাহ আমির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ প্রমূখ।