Dhaka ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন ছাতকে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক প্রধান শিক্ষক আবু হেনার বিরুদ্ধে যতই দুনীতি, অনিয়ম,সরকারি বরাদ্ধে টাকা আত্মসাৎ,নিয়োগ বানিজ্য,এস এস সির পরীক্ষায়  অতিরিক্ত ফিস আদায়,কোচিং বানিজ্য ,বিদ্যালয়ে গাছ কাটা,ভূয়া ভাউচার, জেলা পরিষদ ও সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের বরাদ্ধকৃত লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । তার বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির  সত্যতা স্বীকার করে  উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে গত ১০ ফেরুয়ারি দীন মোহাম্মদ সাদিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য একটি আহবায়ক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে  ইউএনও মোঃ তরিকুল ইসলাম। গত ২ ফেরুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার  বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষণসোম গ্রামের দীন মোহাম্মদ সাদিক নামের একজন সচেতন ব্যাক্তি।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক হলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা শাহ মোঃ শফিউর রহমান,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা ও সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা সুভাষ চত্রুবতীকে সদস্য করে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিকে দশ কার্ষদিবসের মধ্যে অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করেন। এসব দুনীতির  অনিয়মের অভিযোগের ঘটনায় বিভিন্ন খাতে নিতে আবু হেনার সিন্ডিকেট চত্রুরা ইউএনও র বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা মিথ্যা অপ প্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়,উপজেলার জাউয়াবাজার এলাকার পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা সাবেক সরকারে আমলে আওয়ামীলীগের নেতা সেজে সাবেক এমপি মানিকের আশিবাদে বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা লুটপাটসহ নানা কর্মকান্ড চালিয়েছে।

দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন না মেনে,ভূয়া এজেন্ট,ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা  আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৮১.৩৬.০০৪.২০(অংশ)-৯০.তা২০২৩ সালে ২১ মার্চ”পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস (চইএঝও)স্কিম”এর আওতায় “স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদানের  ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা ব্যয়ের নির্দেশনা উপক্ষা করেও অধিকাংশ টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করে। এছাড়া বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদ ও সাবেক এমপি মানিকের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাত করেছে দুনীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আবু হেনা।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং -শিম/শাঃ১১/৩/-৯/২০১১/৪০১, তাং ২০/০৬/২০১২ইং মূলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ এর ধারা -২(ক)(খ)(গ) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে বিগত বছরগুলোতে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন। এ বিদ্যালয়ের যোগদান করার পর  ৪০ বছরের পুরনো আনুমানিক শতাধিক  বড় সাইজের বিভিন্ন প্রকার গাছ বিধি বহির্ভূত ভাবে কর্তন করে বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে বলে অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু হেনা তার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ সঠিক নয়। তবে অভিযোগকারী তার বিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক নয়। গাছকাটা সহ যত কর্মকান্ত হয়, তা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে এসব করেছেন তিনি। এব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির ঘটনার সত্যতা  নিশ্চিত করে বলেন অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন ছাতকে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

Update Time : ০৩:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক প্রধান শিক্ষক আবু হেনার বিরুদ্ধে যতই দুনীতি, অনিয়ম,সরকারি বরাদ্ধে টাকা আত্মসাৎ,নিয়োগ বানিজ্য,এস এস সির পরীক্ষায়  অতিরিক্ত ফিস আদায়,কোচিং বানিজ্য ,বিদ্যালয়ে গাছ কাটা,ভূয়া ভাউচার, জেলা পরিষদ ও সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের বরাদ্ধকৃত লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । তার বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির  সত্যতা স্বীকার করে  উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে গত ১০ ফেরুয়ারি দীন মোহাম্মদ সাদিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য একটি আহবায়ক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে  ইউএনও মোঃ তরিকুল ইসলাম। গত ২ ফেরুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার  বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষণসোম গ্রামের দীন মোহাম্মদ সাদিক নামের একজন সচেতন ব্যাক্তি।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক হলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা শাহ মোঃ শফিউর রহমান,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা ও সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা সুভাষ চত্রুবতীকে সদস্য করে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিকে দশ কার্ষদিবসের মধ্যে অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করেন। এসব দুনীতির  অনিয়মের অভিযোগের ঘটনায় বিভিন্ন খাতে নিতে আবু হেনার সিন্ডিকেট চত্রুরা ইউএনও র বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা মিথ্যা অপ প্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়,উপজেলার জাউয়াবাজার এলাকার পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা সাবেক সরকারে আমলে আওয়ামীলীগের নেতা সেজে সাবেক এমপি মানিকের আশিবাদে বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা লুটপাটসহ নানা কর্মকান্ড চালিয়েছে।

দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন না মেনে,ভূয়া এজেন্ট,ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা  আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৮১.৩৬.০০৪.২০(অংশ)-৯০.তা২০২৩ সালে ২১ মার্চ”পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস (চইএঝও)স্কিম”এর আওতায় “স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদানের  ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা ব্যয়ের নির্দেশনা উপক্ষা করেও অধিকাংশ টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করে। এছাড়া বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদ ও সাবেক এমপি মানিকের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাত করেছে দুনীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আবু হেনা।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং -শিম/শাঃ১১/৩/-৯/২০১১/৪০১, তাং ২০/০৬/২০১২ইং মূলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ এর ধারা -২(ক)(খ)(গ) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে বিগত বছরগুলোতে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন। এ বিদ্যালয়ের যোগদান করার পর  ৪০ বছরের পুরনো আনুমানিক শতাধিক  বড় সাইজের বিভিন্ন প্রকার গাছ বিধি বহির্ভূত ভাবে কর্তন করে বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে বলে অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু হেনা তার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ সঠিক নয়। তবে অভিযোগকারী তার বিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক নয়। গাছকাটা সহ যত কর্মকান্ত হয়, তা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে এসব করেছেন তিনি। এব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির ঘটনার সত্যতা  নিশ্চিত করে বলেন অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।