বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম সকাল ১১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।এর আগে বেঞ্চ সহকারী মো. বেলাল হোসেন আজকের রায় ঘোষণার কথা জানান।
খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার পক্ষে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া।
যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। এর আগে আদালত মামলার বাদীসহ ৩৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামি ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক এবং নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি দায়ের করে, যেখানে খালেদা জিয়া ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কানাডীয় কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের চুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
২০০৮ সালের ৫ মে দুদক খালেদা জিয়া ও নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২০২২ সালের ২৮ মার্চ কাশেম শরীফকে নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ আদালত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা একেএম মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমেদ মারা যাওয়ায় তাদের নাম অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।