Dhaka ০৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

’১৪ ও ’১৮ এর নির্বাচনের সময়ের ২২ ডিসি বাধ্যতামূলক অবসরে

এবার ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠিয়েছে সরকার, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে কোন কোন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এই ৩৩ জন যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এর আগেও একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকেও ওএসডি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। চৌদ্দর নির্বাচনে নজীরবিহীনভাবে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়।

এদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। সেই নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে নির্বাচন করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটে বাঁধা দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগও ওঠে। সেই নির্বাচনে ২৫৮টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

’১৪ ও ’১৮ এর নির্বাচনের সময়ের ২২ ডিসি বাধ্যতামূলক অবসরে

Update Time : ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এবার ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠিয়েছে সরকার, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে কোন কোন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এই ৩৩ জন যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এর আগেও একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকেও ওএসডি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। চৌদ্দর নির্বাচনে নজীরবিহীনভাবে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়।

এদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। সেই নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে নির্বাচন করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটে বাঁধা দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগও ওঠে। সেই নির্বাচনে ২৫৮টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ।