নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে, ঢাকা–রাজশাহী রুটে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় অভিযোগ না নেওয়াসহ দায়িত্বে অবহেলায়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে থানার দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত হয়ে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়া মাত্র তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা জানায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ার পর রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর যাত্রীদের চাপের মুখে চালক সেখান থেকে বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়েন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।
ডাকাতির ঘটনায় সেখানে বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের সামনে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।