Dhaka ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চৌগাছায় মাছের ভেড়ি থেকে প্রবাসীর লাশ উদ্ধার

banglanews24.com

যশোরের চৌগাছায় চাচাতো ভাইয়ের মাছের ভেড়ি থেকে বকুল হোসেন (৪৫) নামের এক প্রবাসির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের চৌগাছা-শার্শা সড়কের পাশের ঢেকিপোতা মশ্যমপুর মাঠের শিমুল হোসেনের মাছের ভেড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত ব্যক্তি ঐ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে কি কারনে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, বকুল হোসেন প্রায় এক যুগ ধরে মালায়েশিয়া ছিলেন। গত ২০ মাস আগে তিনি বাড়িতে এসেছেন। রবিবার রাতে তিনি স্ত্রী সন্তানদের বলে আমি মাছ ধরতে বের হন। আর ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন ওই রাতে অনেক খোঁজাখুজি করলেও বকুলের হদিস পাননি। সোমবার সকাল হলে পুনরায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে মশ্মমপুর মোড়ের অদুরে বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের শিমুলের পুকুর পাড়ে বকুলের মরাদেহ দেখতে পায় নিহতের ছেলে জীবন হোসেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন।

খবর পেয়ে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন মর্গে পাঠান।

নিহতের ছোট ভাই বিপুল হোসেন জানান, রাতে ভাই মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও সারা রাতই নিখোঁজ ছিলো। বিকেল চারটার দিকে এই পুকুরের পানির ধারে মরদেহ তার ছেলে জীবন দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

নিহত বকুল হোসেনের ছেলে জীবন বলেন, আমার পিতার মাছ ধরার খুুবই নেশা ছিলো। সুযোগ হলেই বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে মাছ ধরতে যেতেন। আজ (সোমবার) বিকেলে এই পুকুর পড়ে আব্বার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আমার ধারনা মাছ ধরার সময় পুকুরের বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। কেননা পুকুরের চারপাশে বিদ্যুতের তার রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক শিমুল হোসেন চোর ও শিয়ালের উপদ্রপ হতে মাছ রক্ষায় গোটা পুকুরে পানির উপরে বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে রেখেছে। অনেকের ধারনা নিহত বকুল হোসেন ওই পুকুরে মাছ ধরতে যেয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন এবং তাতেই মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধারের কিছু দূরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একটি শিয়ালও মারা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের স্ত্রী ও ছেলের ভাষ্যমতে সে মাছ ধরতে যেয়ে ওই পুকুরের বিদুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে। তবে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যু না অন্য কোন কারণ আছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য বের হয়ে আসবে।এদিকে ঘটনাস্থল যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবিব পরিদর্শন করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

চৌগাছায় মাছের ভেড়ি থেকে প্রবাসীর লাশ উদ্ধার

জন দেখেছেন : ০৬:৩৭:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের চৌগাছায় চাচাতো ভাইয়ের মাছের ভেড়ি থেকে বকুল হোসেন (৪৫) নামের এক প্রবাসির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের চৌগাছা-শার্শা সড়কের পাশের ঢেকিপোতা মশ্যমপুর মাঠের শিমুল হোসেনের মাছের ভেড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত ব্যক্তি ঐ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে কি কারনে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, বকুল হোসেন প্রায় এক যুগ ধরে মালায়েশিয়া ছিলেন। গত ২০ মাস আগে তিনি বাড়িতে এসেছেন। রবিবার রাতে তিনি স্ত্রী সন্তানদের বলে আমি মাছ ধরতে বের হন। আর ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন ওই রাতে অনেক খোঁজাখুজি করলেও বকুলের হদিস পাননি। সোমবার সকাল হলে পুনরায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে মশ্মমপুর মোড়ের অদুরে বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের শিমুলের পুকুর পাড়ে বকুলের মরাদেহ দেখতে পায় নিহতের ছেলে জীবন হোসেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন।

খবর পেয়ে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন মর্গে পাঠান।

নিহতের ছোট ভাই বিপুল হোসেন জানান, রাতে ভাই মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও সারা রাতই নিখোঁজ ছিলো। বিকেল চারটার দিকে এই পুকুরের পানির ধারে মরদেহ তার ছেলে জীবন দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

নিহত বকুল হোসেনের ছেলে জীবন বলেন, আমার পিতার মাছ ধরার খুুবই নেশা ছিলো। সুযোগ হলেই বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে মাছ ধরতে যেতেন। আজ (সোমবার) বিকেলে এই পুকুর পড়ে আব্বার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আমার ধারনা মাছ ধরার সময় পুকুরের বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। কেননা পুকুরের চারপাশে বিদ্যুতের তার রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক শিমুল হোসেন চোর ও শিয়ালের উপদ্রপ হতে মাছ রক্ষায় গোটা পুকুরে পানির উপরে বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে রেখেছে। অনেকের ধারনা নিহত বকুল হোসেন ওই পুকুরে মাছ ধরতে যেয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন এবং তাতেই মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধারের কিছু দূরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একটি শিয়ালও মারা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের স্ত্রী ও ছেলের ভাষ্যমতে সে মাছ ধরতে যেয়ে ওই পুকুরের বিদুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে। তবে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যু না অন্য কোন কারণ আছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য বের হয়ে আসবে।এদিকে ঘটনাস্থল যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবিব পরিদর্শন করেছেন।