Dhaka ১২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিগ্রস্ত, ইসলাম ও জনগণের শত্রু, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার সাধারণ শিক্ষাথীদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন উম্মে হাবিবা ওয়াফা, ইশরাত জাহান অহনা, তরিকুল ইসলাম মুন্না, আশিকুর রহমান সিয়াম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী ছাত্ররা বলেন, গ্রামীন তহবিলের ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নামে বেনামে দৃশ্যমান কোন কাজ না করেই ইউএনও মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেন। এ তহবিলের টাকা এস পি সি, সি পি সি এর মাধ্যমে কমিটি গঠন করে একাউন্ট পে চেক দেয়ার কথা। কিন্তু প্রথম ধাপের সমুদয় টাকা নামে বেনামে বেয়ারার চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে তছরুপ করেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট সমুদয় টাকা একই প্রক্রিয়ায় আত্মসাৎ করেন। তিনি অর্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়গুলোতে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের কাজে লিপ্ত থাকেন। ।

ছাত্ররা আরও বলেন, আমাদের ছাত্রদের অধিকারের কোন কথাই ইউএনও শুনতে চান না। তিনি সব সময় ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেন। কোন উপকারভোগী তার সমস্যার কথা নিয়ে ইউএনওর কাছে গেলে তিনি অফিস রুমে প্রবেশ করতে দেন না। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের ৩/৪ জনকে নিয়ে মিটিংয়ের কথা বলে তাদেরকে বিদায় করে দেন। বিশেষ এ মিটিংয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্বাচিত ২/৩ জন ্ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। গত দুই দিন আগে একজন পর্দানশীল বিধবা মহিলা গভীর নলকূপের আবেদন নিয়ে ইউএনও’র কাছে গেলে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন এবং বস্তা পরা মহিলা বলে ইসলামের কটূক্তি করে।

তিনি কেন আমাদেরকে বস্তা পরা মহিলা বলবেন? তিনি কীভাবে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে একসাথে কাজ করেন? যেখানে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোন দোসর নাই, সেখানে কেন গলাচিপার মাটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের এ চিত্র ছাত্র-জনতার দেখতে হবে? ঊর্ধ্বতন প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছে? প্রশাসনকে জাগ্রত হতে বলুন। ছাত্রলীগ যেখানে নিষিদ্ধ সেখানে ইউএনও কেন ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ রাখে? ছাত্র-জনতার ২৪ এর জুলাই আগস্টের কথা আপনারা এখনও ভুলেন নাই। ছাত্র-জনতা যদি একবার ক্ষেপে তাহলে কিন্তু আপনারা বুঝেন ছাত্র-জনতা সেই খুনি হাসিনাকে নামাতে পারছে। তাহলে এটা কিন্তু আমাদের কাছে কোন বিষয়ই নয়।

ছাত্ররা বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে এই দুর্নীতিবাজ, আওয়ামী দোসর, ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবি করছি। তা না হলে দুর্বার আন্দোল গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্ররা হাট-বাজার ও প্রজেক্টের কাজকর্ম চায় আমার কাছে। আমি বলছি এতে তোমাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। এতে ওরা মনোক্ষুন্ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

Update Time : ০৬:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর গলাচিপায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিগ্রস্ত, ইসলাম ও জনগণের শত্রু, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার সাধারণ শিক্ষাথীদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন উম্মে হাবিবা ওয়াফা, ইশরাত জাহান অহনা, তরিকুল ইসলাম মুন্না, আশিকুর রহমান সিয়াম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী ছাত্ররা বলেন, গ্রামীন তহবিলের ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নামে বেনামে দৃশ্যমান কোন কাজ না করেই ইউএনও মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেন। এ তহবিলের টাকা এস পি সি, সি পি সি এর মাধ্যমে কমিটি গঠন করে একাউন্ট পে চেক দেয়ার কথা। কিন্তু প্রথম ধাপের সমুদয় টাকা নামে বেনামে বেয়ারার চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে তছরুপ করেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট সমুদয় টাকা একই প্রক্রিয়ায় আত্মসাৎ করেন। তিনি অর্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়গুলোতে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের কাজে লিপ্ত থাকেন। ।

ছাত্ররা আরও বলেন, আমাদের ছাত্রদের অধিকারের কোন কথাই ইউএনও শুনতে চান না। তিনি সব সময় ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেন। কোন উপকারভোগী তার সমস্যার কথা নিয়ে ইউএনওর কাছে গেলে তিনি অফিস রুমে প্রবেশ করতে দেন না। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের ৩/৪ জনকে নিয়ে মিটিংয়ের কথা বলে তাদেরকে বিদায় করে দেন। বিশেষ এ মিটিংয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্বাচিত ২/৩ জন ্ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। গত দুই দিন আগে একজন পর্দানশীল বিধবা মহিলা গভীর নলকূপের আবেদন নিয়ে ইউএনও’র কাছে গেলে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন এবং বস্তা পরা মহিলা বলে ইসলামের কটূক্তি করে।

তিনি কেন আমাদেরকে বস্তা পরা মহিলা বলবেন? তিনি কীভাবে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে একসাথে কাজ করেন? যেখানে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোন দোসর নাই, সেখানে কেন গলাচিপার মাটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের এ চিত্র ছাত্র-জনতার দেখতে হবে? ঊর্ধ্বতন প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছে? প্রশাসনকে জাগ্রত হতে বলুন। ছাত্রলীগ যেখানে নিষিদ্ধ সেখানে ইউএনও কেন ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ রাখে? ছাত্র-জনতার ২৪ এর জুলাই আগস্টের কথা আপনারা এখনও ভুলেন নাই। ছাত্র-জনতা যদি একবার ক্ষেপে তাহলে কিন্তু আপনারা বুঝেন ছাত্র-জনতা সেই খুনি হাসিনাকে নামাতে পারছে। তাহলে এটা কিন্তু আমাদের কাছে কোন বিষয়ই নয়।

ছাত্ররা বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে এই দুর্নীতিবাজ, আওয়ামী দোসর, ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবি করছি। তা না হলে দুর্বার আন্দোল গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্ররা হাট-বাজার ও প্রজেক্টের কাজকর্ম চায় আমার কাছে। আমি বলছি এতে তোমাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। এতে ওরা মনোক্ষুন্ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করেছে।