Dhaka ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাথরঘাটা জমি নিয়ে যুবদল নেতাকে হয়রানির অভিযোগ

বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটা পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আল হাদিদকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে সুমাইয়া নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার বেলা 11 টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী সেন্টু মিয়ার স্ত্রী।

এ সময় আল হাদিদ জানান, তিনি ২০১৩ সালে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোয়া ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই থেকেই তিনি বসত ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। আল হাদিদের নয় বছর পরে সুমাইয়া আক্তারও একই ব্যাক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। সে সময় আওয়ামী সরকার একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয় তার। এই সুযোগে ওই নারী তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামাল আহমেদ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বলে জমিতে সীমানা দিয়ে দখল করে রাখেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলে ওই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত করে সালিশ মীমাংসার জন্য। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা করে হাদীদের জমি এবং ওই নারীর জমি বুঝিয়ে দিলে তিনি তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে হাদিসসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মাওলানা শামীম আহমেদকে জড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছেন। এই মিথ্যে অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানান এবং আল হাদিদ ওই নারীর হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার মুঠোফোনে জানান, হাদিদের সাথে জমি নিয়ে তার সাথে বিরোধ রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সালিশও হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাথরঘাটা জমি নিয়ে যুবদল নেতাকে হয়রানির অভিযোগ

Update Time : ০৩:৫৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটা পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আল হাদিদকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে সুমাইয়া নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার বেলা 11 টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী সেন্টু মিয়ার স্ত্রী।

এ সময় আল হাদিদ জানান, তিনি ২০১৩ সালে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোয়া ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই থেকেই তিনি বসত ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। আল হাদিদের নয় বছর পরে সুমাইয়া আক্তারও একই ব্যাক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। সে সময় আওয়ামী সরকার একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয় তার। এই সুযোগে ওই নারী তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামাল আহমেদ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বলে জমিতে সীমানা দিয়ে দখল করে রাখেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলে ওই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত করে সালিশ মীমাংসার জন্য। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা করে হাদীদের জমি এবং ওই নারীর জমি বুঝিয়ে দিলে তিনি তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে হাদিসসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মাওলানা শামীম আহমেদকে জড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছেন। এই মিথ্যে অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানান এবং আল হাদিদ ওই নারীর হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার মুঠোফোনে জানান, হাদিদের সাথে জমি নিয়ে তার সাথে বিরোধ রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সালিশও হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।