গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি ভাঙ্গারী গুদামে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনজন মিলে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে অপর ধর্ষক পালিয়ে যান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কামারপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে রমজান আলী (৩৬) ও ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানার বুড়ারচর এলাকার মৃত শাহেদ আলীর ছেলে হাসেম উদ্দিন (৫৫)। এলাকাবাসী, ভিকটিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার কাউছার ডাক্তারের বাসায় ভাড়া থেকে ভাঙ্গারীর ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৫/৬ দিন ধরে তার ভাঙ্গারী গুদামে সাবিনা বেগম নামে এক নারী ভাঙ্গারী বাছাইয়ের কাজ করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সকালে ওই নারী শ্রমিক তার কর্মস্থল ভাঙ্গারী গুদামে যান। তিনি দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি যান এবং বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবার তার কর্মস্থলে যান। কিছুক্ষণ পর তাকে ওই ভাঙ্গারী গুদামের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রমজান। পরে তিনি বিকেল সোয়া ৬টার দিকে হারুন অর রশিদ (৪০) ও হাসেম উদ্দিনকে নিয়ে ওই ভাঙ্গারী গুদামে যান। এসময় ব্যবসায়ী রমজান ওই নারী শ্রমিকের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। আর হারুন অর রশিদ পরণের কাপড়-চুপর খুলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর হারুন অর রশিদ ধারালো অস্ত্র ধরে তার মুখ চেপে ধরে এবং ওই ব্যবসায়ী রমজানও তার নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে হাসেম উদ্দিনও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। প্রায় দুই ঘন্টা পালাক্রমে গণধর্ষণের পর কাউকে জানালে খুন করার হুমকী দিয়ে রাত ৮টার দিকে ভিকটিমকে ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা।
পরে অটোরিকশা যোগে রাত ১১টার দিকে তিনি অসুস্থ অবস্থায় ভাড়া বাসায় ফিরে তার স্বামীকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। এরপর তার স্বামী গণধর্ষণের ঘটনাটি থানায় অবগত করলে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ওই ব্যবসায়ী রমজান ও হাসেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে অপর ধর্ষক হারুন অর রশিদ পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী আনিছুর রহমান বাদী হয়ে সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম জানান, ওই ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।