Dhaka ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চকরিয়ায় ইউএনও বাল্যবিবাহ পন্ড করলেন 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে প্রতিরোধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামনগর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী আলিফা জান্নাত তারিন (১৫) কে তাঁর পরিবার জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারির বাসিন্দা এক প্রবাসীর সঙ্গে।বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল নানা অনুষ্ঠান। দুপুরের মধ্যে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে পৌঁছার কথা। এরই মধ্যে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদরাসা শিক্ষার্থী বিয়ের পীড়িতে বসতে যাচ্ছে বলে বিষয়টি জানতে পারেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। তাৎক্ষণিক তিনি চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলামকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে ঘটনাস্থলে পাঠান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে আমজাদিয়া মাদরাসার সুপার ড. এনামুল হক, চকরিয়া থানার এসআই শরীফ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কনের বাবা মুছলেকা দিয়েছেন মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

চকরিয়ায় ইউএনও বাল্যবিবাহ পন্ড করলেন 

Update Time : ০৮:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে প্রতিরোধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামনগর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী আলিফা জান্নাত তারিন (১৫) কে তাঁর পরিবার জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারির বাসিন্দা এক প্রবাসীর সঙ্গে।বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল নানা অনুষ্ঠান। দুপুরের মধ্যে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে পৌঁছার কথা। এরই মধ্যে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদরাসা শিক্ষার্থী বিয়ের পীড়িতে বসতে যাচ্ছে বলে বিষয়টি জানতে পারেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। তাৎক্ষণিক তিনি চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলামকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে ঘটনাস্থলে পাঠান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে আমজাদিয়া মাদরাসার সুপার ড. এনামুল হক, চকরিয়া থানার এসআই শরীফ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কনের বাবা মুছলেকা দিয়েছেন মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন।